রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে যুবদল কর্মীকে গুলি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফলে আতঙ্কে রাত কাটছে গ্রামবাসীর। আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেক পরিবার।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার পাংশা উপজেলা যুবদল নেতা ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ফরহাদ হোসেন সোহাগের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এনে নেতৃত্ব দেন সজলসহ বেশে কয়েকজন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জাগির কয়া নতুন বাজার এলাকায় ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফের মোটরসাইকেল বহরে হামলা ও গুলি করার ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবদলকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর গোলাবাড়ী বনগ্রামের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মাইকে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মামলায় ৪ নং আসামি করা হয় ইমন হাসান রনিকে। তিনি বলেন, এই ঘটনায় তার নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তার অভিযোগ, তার লিজ নেওয়া পুকুর দখল করে মাছ ছাড়ে। তার প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
পাংশা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিএনপির মধ্যে দুই গ্রুপ রয়েছে। একটি সাবেক সংসদ সদস্য মো. নাসিরুল হক সাবু গ্রুপ। আর একটি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশিদ গ্রুপ। আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
উপজেলা যুবদলে আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত শুক্রবার পাট্টার একটি প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, যুবদল নেতাকে গুলি করার ঘটনায় আহত মনিরুল ইসলামের ভাই আকবর বিশ্বাস বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সজলসহ নয়জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের আতঙ্ক দূরীকরণে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।