উদ্ধার হওয়া আহত একটি ঈগলকে পরম যত্মে সেবা শুশ্রুষা করছেন সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী। তিনি একজন পাখিপ্রেমি। কোনো অসুস্থ পাখি দেখলেই তিনি উদ্ধার করে সেবা শুশ্রুষা করেন। রাজবাড়ী বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি ঈগল পাখি নিয়ে সেটি তিনি সযত্নে রেখে সেবা শুশ্রুষা করছেন। লিটন চক্রবর্তী রাজবাড়ী রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি। তার বাড়ি রাজবাড়ী শহরের টিএন্ডটি পাড়ায়।
লিটন চক্রবর্তী জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর এলাকার দ্ষ্টুু কয়েকজন কিশোর ঈগলটিকে মেরে তার ডানা ভেঙে দেয়। সেখানকার এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানান। রাজবাড়ী জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বিষয়টি জানতে পেরে ঈগলটিকে উদ্ধার করে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার পর বন কর্মকর্তা ঈগলটিকে তার কাছে দেন সেবা শুশ্রুষার জন্য। তিনি তার আরাম ঘরের একটি কক্ষে ঈগলটিকে রেখে শুশ্রুষা দিচ্ছেন। নিয়মিত দেখভাল করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে একটি বড় পোনা মাছ খেতে দিয়েছেন। ঈগলটি এখন অনেকটাই সুস্থ। এটি পরিপূর্ণ সুস্থ হলে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাদের সংগঠন আরাম ঘর জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় খুবই সচেতনভাবে কাজ করে থাকে। সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর আবু আব্দুল্লাহ স্বপনও একজন পাখি প্রেমি। মূূলত তার তত্ত্বাবধানেই রয়েছে ঈগলটি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দিন আহমেদ জানান, জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বুধবার একটি ঈগলের চিকিৎসার জন্য তার কাছে নিয়ে আসেন। ঈগলটির প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়। তাদের হাসপাতালে পাখি ভর্তি করে রাখার মত ব্যবস্থা নেই। বন বিভাগের কাছেও পাখি সংরক্ষণের কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। একারণে তিনি পরামর্শ দেন, আইনগত কোনো সমস্যা না থাকলে পাখিটিকে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে রাখার জন্য। যেহেতু লিটন চক্রবর্তীর কর্মকান্ড নিয়ে তিনি অবগত আছেন। ইতিপূর্বেও লিটন চক্রবর্তীর প্রতি পাখি প্রেম লক্ষ্য করেছেন। উদ্ধার হওয়ার ঈগলটি পরিণত। এটি আরও বড় হবে। ঈগল সাধারণত মাছ, সাপ এসব খেয়ে জীবন ধারণ করে।
রাজবাড়ী জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ হুমায়ুন কবির জানান, অসুস্থ ঈগলটিকে উদ্ধার করে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। সেটির সুস্থ হতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। তাদের কাছে পাখিটিকে রাখার সুব্যবস্থা নেই। লিটন চক্রবর্তী ইতিপূর্বে অসুস্থ পাখির সেবা শুশ্রুষা করেছেন বলে জেনেছেন। একারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পাখিটিকে তার কাছে দেওয়া হয়েছে। পূর্ণ সুস্থ হলে সেটি অবমুক্ত করা হবে।