দিন রাত কষ্ট করেও বাড়াতে পারছেন না এর পরিধি। ব্যবসার পরিসর বাড়াতে চান সরকারের চান সহযোগিতা। বাচ্চু বেপারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা গেছে, বাড়িতেই তিনি গত ৫ বছর আগে গড়ে তুলেছেন কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে খাঁটি শরিষার তেলের উৎপাদন। ইউটিউব দেখে মাস্টার্সে পড়–য়া বাচ্চু মিয়ার ছেলে সবুজ ও তার বাবা একটি কাঠের ঘানি ও একটি গরু দিয়ে প্রথমে শরিষার তেল উৎপাদন শুরু করেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরো একটি ঘানি ও গরু বাড়ানো হয়। প্রতিদিন এ দুটি ঘানি থেকে প্রতিদিন ২০ কেজি খাটি শরিষার তেল উৎপাদন করতে পারছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকেই বিক্রি হচ্ছে তার এ খাটি তেল। তবে এর চাইতে বেশি চাহিদা থাকলেও আর্থিক দৈন্যতার কারণে ঘানিটির পরিধি বাড়াতে পারছেন না বাচ্চু বেপারী। পরিসর বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার অনুরোধ ঘানির মালিক ও এলাবাসির।
এলাকাবাসি জানায়,বাচ্চু বেপারী প্রতিদিন যে পরিমাণ তেল উৎপাদন করেন তার পুরোটাই বাড়ী থেকে বিক্রি হয়ে যায়। তার এ ঘানির তেলের চাহিদা থাকা সত্বেও তা পূরণ করতে পারছেন না তিনি। এলাকার মানুষদের কাজের পরিধি বাড়ানো ও খাটি তেল উৎপাদন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নজর দিতে অনুরোধ তাদের।
বাচ্চু বেপারী বলেন, খাটি শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে ও তার পরিবারের সচ্ছলতা আনতে তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে কাঠের ঘানি ও গরু দিয়ে তার এ ঘানিটি সচল রেখেছেন। মাঝে মাঝে গরুর বদলে তারারও ঘানি ঠেলে তেল উৎপাদন কওে থাকেন। চাহিদা মেটানো ও ঘানির পরিসর বাড়াতে তিনি আর্থিক সহযোগীতা চান সরকারের কাছে।
চন্দনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, বাচ্চু বেপারী তার পরিবাকে সচ্ছল রাখতে ও খাঁটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন ধরে রাখতে রাত দিন কষ্ট করে যাচ্ছেন। পরিধি ছোট হওয়ায় সে চাহিদা অনুযায়ী তেল উৎপাদান করতে পারছেনা।তার এ ঘানিটির পরিসর বাড়াতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগীতার পাশাপাশি তিনিও সহযোগীতা করতে আগ্রহী বলে জানান।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা বলেন, খোঁজ পেয়ে বাচ্চু বেপারীর ঘানিটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। তবে তিনি উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে খাঁটি মানের শরিষার তেল উৎপাদন করতে তার কি ধরনের চাহিদা তার একটি কর্ম পরিকল্পনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাখিল করলে তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।