মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণ করে পেয়েছিল মাত্র তিনশ টাকা। অবশ্য সফল হলে তাকে একটি ভ্যান দেওয়ারও প্রলোভন দেখিয়েছিল মূল হোতারা।
মাদরাসাছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিফুল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার মঙ্গলপৈতা গ্রামের মৃত খালেক তালুকদারের ছেলে।
রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র জানায়, উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাজাহান মোল্লার ছেলে জুবায়ের হোসেন রিফাদ রাজবাড়ী জেলা শহরের দারুল উলুম ভাজনচালা মাদরাসার হাফেজিয়া শাখার ছাত্র। চলতি বছরের ১১ মার্চ সকালে শহরের শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে কয়েকজন বন্ধু খেলাধুলা করছিল। এ সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি তাদের কাছে এসে মোবাইল ফোনের লোভ দেখিয়ে রিফাদকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। এরপর থেকেই রিফাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে ওই ছাত্রের মা রিক্তা বেগম রাজবাড়ী সদর থানায় অভিযোগ করেন।
ঘটনার দুদিন পর ১৩ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়ির এলাকা থেকে রিফাদকে উদ্ধার করা হয়। তার বক্তব্যে ও সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী ঝিনাইদহ, বেনাপোল, যশোরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে রাজবাড়ী থানার একটি টিম কাজ শুরু করে। ২৭ এপ্রিল যশোর জেলার অভয়নগর থানার নওয়াপাড়া এলাকায় অপহরণকারীর সন্ধান পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
অপহরণের বিষয় শিকার করে আরিফুল ইসলাম জানান, কালীগঞ্জের বাশারের ছেলে জুয়েল ও সবুরের নির্দেশে তিনি ওই ছাত্রকে অপহরণ করেন। এর জন্য তিনি পেয়েছেন ৩০০ টাকা। কাজ সফল হলে তাকে একটি ভ্যান দেওয়ার কথা ছিল। মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে রাজবাড়ী থেকে রিফাদকে অপহরণ করে নিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও যশোরসহ বিভিন্ন জায়গায় রাখেন আরিফুল।
আরিফুল ইসলাম আরও জানান, জুয়েল ও সবুরের হাতে রিফাদকে তুলে দিলে মুক্তিপণ না পেলে তারা তাকে হত্যা করতে পারতো এবং তার দায় পড়তো তার ওপর। তাই তিনি অপহরণের দুদিন পর যশোর থেকে ট্রেনে রিফাদকে রাজবাড়ী পাঠিয়ে দেন।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন জানান, অপহরণ ঘটনার দেড় মাস পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।