রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জের ধরে পাঁচটি পরিবারের সদস্যরা মন্দিরে যেতে পারছে না। নব নির্মাণকৃত এক বিল্ডিংয়ের সামনে এক পরিবার নির্মান করছে প্রাচীর। এতে বাড়ি থেকে বের হবার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনা রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চন্ডিপুর পূর্ব পাড়ায় পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে পূজা মন্দির ও মঠ। মঠ ও মন্দিরের সামনে দুই হিন্দু পরিবারের বসতি। পেছনে ও সামনে আছে আরো ৫ পরিবার। মন্দিরের সামনে রয়েছে কুমারেশ বিশ্বাস ও কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের বাড়ি। পাশাপাশি বাড়িতে দীর্ঘ দেড়শ বছর তারা বসবাস করছে। ২০১৮ সালে কুমারেশ বিশ্বাস কাঁচা ঘর ভেঙ্গে বাড়িটি দ্বিতল বিল্ডিং গড়তে থাকে। ৫ বছরের কাজের পর এ বছর বিল্ডিংটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বিল্ডিংয়ের প্রধান গেটের সামনে দিয়ে শুরু করেছে প্রাচীর নির্মাণ। চারদিক খোলা রেখে বিল্ডিয়ের সামনে প্রাচীর নির্মাণ করায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা কুমারেশ ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার ঠাকুরদার আমলের মন্দিরে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরও ৫ পরিবার আটকা পরেছে।
এ ব্যাপারে কুমারেশ কালুখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃগী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অভিযোগটির তদন্ত করছে।
কুমারেশ জানান,অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ শান্তি রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী আমাদের অভিযোগ প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীন জীবনযাপন করছি। রাতে বাড়িতে ঘুমাই না।
কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা জানায়, কৃষ্ণপদ ভারতে গিয়েছে। আসতে দেড়ি হবে।