সমাজের নানা মানুষের নানা শখ। কেউ অন্যের বাড়ীতে খাওয়ার, কেউবা অন্যকে খাওয়ানো। কারো সাংস্কৃতি চর্চা, কারো ধর্ম চর্চা। তবে এসব পিছনে ফেলে মনের মাঝে ব্যতিক্রমী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাশার খান। অন্ধ জনের আলো দান তার শখের নাম।
জানা গেছে, এই ব্যতিক্রম শখের মানুষ নিজের অর্থে দারিদ্র, অসহায় ৪শতাধিক মানুষকে চোখের আলো ফেরাতে সহযোগিতা করেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বাশার খান জানান, যারা অর্থের অভাবে চোঁখের ছানি অপারেশন করতে পারে না তাদের দিয়ে আমার কাজ শুরু। মালেকা চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কাজে আমাকে অনুপ্রেরণা দেন। আজ পর্যন্ত ৪শতাধিক মানুষকে নিজের অর্থে চোখের আলো ফেরাতে পেরেছি। আর এ কাজ করতে গিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি সেবা পদক সহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছি।
খায়রুল বাশার বলেন, সরকার আমার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পদক প্রদান করায় আমি খুব খুশি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
খায়রুল বাশারের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে মালেকা চক্ষু হাসপাতালে ১০জনকে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন। তারা হলেন রাজবাড়ী সদরের বাণিবহর বার্থা গ্রামের ইউসুব আলী মিয়া, বালিয়াকান্দির বাকসাডাঙ্গীর ছকিনা বেগম, আশ্চর্য্যপুর গ্রামের তারা বানু, কালুখালীর চরভিটির আঃ গফুর লস্কর, ফরিদপুরের রনতাইলের তাহমিনা বেগম, মধুখালী উপজেলার শ্রীরামকান্দির জালাল শেখ, কোরানীয়ার চরের রোকেয়া বেগম, তারাপুরের আলাউদ্দিন শেখ, নিশ্চন্তপুরের মাজেদা বেগম, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মদনপুরের হালিমা বেগম।
এসব রোগীরা খায়রুল বাশারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এমন মানুষ সমাজে আরো প্রয়োজন।