পৈতৃক সম্পত্তির একটি জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কানু কুন্ডুর পরিবার। কানু কুন্ডু পাংশা পৌরসভার গুধিবাড়ী গ্রামের মৃত সর্ব্বরঞ্জন কুন্ডুর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে গুধিবাড়ী মৌজার ৩৫ নম্বর দাগের ৬৪ শতাংশ জমির মধ্যে নিজ অংশের ৩৫ শতাংশ জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন কানু কুন্ডুর পরিবার। এ সময় প্রতিবেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমজাদ হোসেন মন্টু ও ব্যবসায়ী চন্ডীচরণ ঘোষ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গুধিবাড়ী মৌজার ৩৫ নং দাগের ৬৪ শতাংশ জমির অর্ধেক ৩২ শতাংশের মালিক চিত্তরঞ্জন কুন্ডু গং এবং ৩২ শতাংশ জমির মালিক কানু কুন্ডু। কানু কুন্ডু তার অপর দুই ভাই মৃত বেনু কুন্ডু ও ভানু কুন্ডুর অংশ ক্রয় সূত্রে ৩২ শতাংশ জমির মালিক। উক্ত দাগের ৩২ শতাংশ জমির মধ্যে কানু কুন্ডু কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী চন্ডীচরণ ঘোষের কাছে সাড়ে ১৪ শতাংশ এবং সাম্প্রতিক সময়ে ১৭.৬৬ শতাংশ জমি ইদ্রিস মন্ডলের কাছে বিক্রি করেছে। চন্ডীচরণ ঘোষের কাছে বিক্রি করা সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি বুঝে দিতে পারলেও দখল নিয়ে সমস্যা থাকায় ইদ্রিস মন্ডলের কাছে ১৭.৬৬ শতাংশ বিক্রি করা জমি বুঝে দিতে পারছে না কানু কুন্ডু। কানু কুন্ডু আরও জানান, কয়েক বছর আগে বিরোধপূর্ণ জমি মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। জমির উত্তরাংশে চিত্তরঞ্জন কুন্ডু গংদের এবং দক্ষিণাংশে তাদের (কানু কুন্ডু) জমির সীমানা নির্ধারণ করে পিলার দেওয়া হয়। সে মোতাবেক চিত্তরঞ্জন কুন্ডু তাদের সীমানার উত্তারাংশ থেকে ১০ শতাংশ জমি চন্ডীচরণ ঘোষের কাছে বিক্রি করেছে। চন্ডীচরণ ঘোষ চিত্তরঞ্জন কুন্ডুর কাছ থেকে ক্রয়কৃত ১০ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৩ শতাংশ জমি ঘোষপাড়া মন্দিরের নামে দান করেছেন। বর্তমানে আপন চাচাতো ভাই চিত্তরঞ্জন কুন্ডু গংদের সাথে জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ থাকায় ইদ্রিস মন্ডলের কাছে বিক্রি করা ১৭.৬৬ শতাংশ জমি বুঝে দিতে পারছে না কানু কুন্ডু। আর জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। উভয় পরিবার পরস্পর মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী কানু কুন্ডু।