রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালীতে আড়ম্বর আয়োজনে দুই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের যাবতীয় খরচ বহন করেন বর পক্ষের এলাকার লোকজন।
পাংশা পৌর এলাকার সত্যজিৎপুর গ্রামের মৃত কাদের সরদারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলে কাঞ্চন সরদার (২৫) এর সাথে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের দিনমজুর মো. হিলা শেখ এর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়ে পূর্ণিমা খাতুন (১৮) এর সাথে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর কাঞ্চন সরদার জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। চার ভাই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। বাবা মারা যাওয়ার পর কাঞ্চনের মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। সাথে নিয়ে যয় তার বোনকে। সংসারে দুই ভাই এক বোন এর মধ্যে কিছুদিন আগে তার মেজ ভাই বিয়ে করে। কাঞ্চন বড় হলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ে হচ্ছিল না তার। অন্যদিকে পূর্ণিমা চার বোনের মধ্যে তৃতীয়। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে তারও বিয়ে হচ্ছিল না।
প্রতিবেশী বাচ্চু শেখ খুঁজে বের করেন বর-কনেকে। কাঞ্চনের প্রতিবেশী পাংশা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমরা যখন জানতে পারি যে কাঞ্চনের ঠিক হয়েছে তখন আমরা এলাকাবাসী মিলে চাঁদা তুলে এলাকার সুশীল সমাজের মানুষকে সাথে নিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি নেই। বিয়ের দিন বর কাঞ্চন সহ ১০ জন বরযাত্রী নিয়ে আমরা কনের বাড়িতে যাই। পূর্ণিমার বাবার সামর্থ্য না থাকায় বিয়ের সমস্ত খরচ আমরাই বহন করি।
বাচ্চু শেখ বলেন, তুই পক্ষের সাথে আলাচনা করে বিয়ের দিন ধার্য করি এবং গ্রামের মানুষের সাথে সম্মিলিতভাবে চাঁদা তুলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রবিবার কাঞ্চনের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছি।