রাজবাড়ী সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে রোববার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চিঠি দিও শিরোমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল চিঠি বিষয়ক গান, কবিতা, চিঠি নিয়ে স্মৃতিচারণ, চিঠি পাঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। চিঠি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী।
রাজবাড়ী কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ নুরুল হক আলম স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আজ থেকে ৫৬ বছর আগের কথা। তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর। তার মা তাকে যে চিঠি লিখেছিলেন তা স্মরণ করলে এখনও আপ্লুত হয়ে পড়েন।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন জানান, তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর মতার ছেলে তাকে যে চিঠি লিখেছিল সেটিই তার জীবনের সেরা চিঠি।
অন্যদের মাঝে স্মৃতিচারণ করেন রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার আজিজা খানম, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের সভাপতি সালাম তাসির, রাজবাড়ী ডাকঘরের পোস্টমাস্টার রিয়াজুল হক, বিশ্বভরা প্রাণের সভাপতি আতাউর রহমান প্রমুখ।
বিশিষ্টজনদের লেখা চিঠি পাঠ করেন রাজবাড়ীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতীম, দাশ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইদা খানম, অমিতা চক্রবর্তী, সুমনা শিল্পী, সানজিদা সনোকা, তাহমিনা মুন্নী, একেএম সাফিদ ও আজরাজেবিন তুলি।
স্মৃতিচারণ ও চিঠি পাঠ শেষে চিঠি বিষয়ক গান পরিবেশন করেন সুমন আহমেদ, আব্দুল জব্বার, হৈমন্তি বিজয় প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক কবি খোকন মাহমুদ। তিনি বলেন, মানুষের আবেগ আর অনুভূতির সাথে জড়িয়ে আছে চিঠি। একটা সময় চিঠিই ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চিঠির কদর কমেছে। চিঠির ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ আয়োজন।
মঞ্চের পুরো ক্যানভাসটি করা হয়েছে খামের আদলে। তার সামনে রাখা ডাকবাক্স, ডাকপিওনের বাই সাইকেল ও দুই ব্যাগ ভর্তি চিঠির ট্রলি। ডায়াসটি আবৃত ছিল প্রতীকি চিঠি দিয়ে। তবে মঞ্চে অতিথিদের বসার জন্য ছিল না কোনো চেয়ার।