মেয়ের জন্মদিনের দিনই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বাবা। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন গনি মেম্বারের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তিন নাম রুবেল বিশ্বাস (২৮)। ওইদিন ছিল রুবেলের একমাত্র মেয়ে রাইসার দ্বিতীয় জন্মদিন। কিন্তু স্ত্রী-সন্তান তার বাড়িতে ছিল না। আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারন জানা না গেলেও স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ, বেকারত্ব, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান কাছে না থাকার কারনে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। রুবেলের বাবা সালাম বিশ্বাস জানান, ৫ বছর আগে অনেক টাকা ব্যায় করে রুবেলকে কাতার পাঠান। সেখানে থাকতেই সে মোবাইলে হবিগঞ্জের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ফলে ২ বছরের মধ্যে সে দেশে ফিরে আসে। আমরাও তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে তাদের বিয়ে দেই। সে স্থানীয় একটা কারখানায় কাজ নেয়। তবে করোনার কারনে সেখানে ঠিকমতো কাজ হতো না। ওদের একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়। ৩ এপ্রিল ছিল মেয়েটার ২য় জন্মদিন। ওইদিনই সে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাঁস নেয়। কিন্তু কেন সে এমন করল তা তিনি বলতে পারেন না বলে জানান।
রুবেলের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২) বলেন, দুই সপ্তাহ আগে সে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়েছিল। স্বামীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে কোন কলহ ছিল না বলে তিনি দাবি করেন। তবে বেকারত্ব নিয়ে সে চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিল বলে তিনি জানান। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, গলায় ফাঁস নেয়ার পরপর পরিবারের লোকজন টের পেয়ে রুবেলকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল হতে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হওয়ার কথা। মামলার রেফারেন্স পেলে আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখব।