সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ মাধ্যমিক শিক্ষার নতুন কারিকুলামে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের বাস্তবতায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর
পারমিস সুলতানা
মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন এবং বাস্তবায়নে বহুদিন ধরেই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকার শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে (ছঁধষরঃু ঊফঁপধঃরড়হ উবাবষড়ঢ়সবহঃ) এর লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যেমনঃ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ডিগ্রি সমমান পর্যায়ে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসুচি এবং মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হয়। ফলে এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে সন্তানদের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি উপকারভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দ বিভিন্ন কাজ-কর্মে যাবার সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষা গ্রহণের ফলে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা বেড়েছে। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে। নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন হবে। সরকার এই রূপান্তরিত কারিকলামের দ্বারা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে সম্পৃক্ত করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিক্ষা গ্রহণ করা হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বাস্তবতাকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে রূপান্তরিত কারিকুলামের বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষা বিভাগকে সম্পৃক্ত করেছে। বর্তমান শিল্পবিপ্লবকে ডিজিটাল শিল্প বিল্পব বলা হয় অর্থাৎ আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সমসাময়িক ধারায় উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবহারে বা ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয় করণের একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জনে সম্পৃক্ত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব রোবোটিকস ইন্জিনিয়ারিং শিল্প কলকারখানা গুলোতে যেভাবে শ্রমিক ছাটাই হবে ঠিক নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক পযার্য়ে শিক্ষার্থীদের ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিল্পবের মুখোমুখি করে গড়ে তুলবে, যাতে করে শ্রমিক শ্রম বাজারে প্রবেশ করতে পারে। বাস্তব জ্ঞানভিত্তিক প্রায়োগিক বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের অনুশীলনে পরবর্তীতে দক্ষ করে এই শিল্প বিপ্লবের মোকাবিলা করবে।
লেখক : উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী
ও
পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়