আপন দুলাভাই কর্তৃক নাবালিকা শ্যালিকার ধর্ষণ ও তিন মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি দুলাভাই ইসমাইলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব-৮ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর ২২ তারিখে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা এলাকায় ১৩ বছরের কিশোরীকে তার আপন দুলাভাই আসামি ইসমাইল(২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম লোকও লজ্জার ভয় কাউকে বিষয়টি না জানিয়ে চুপ থাকে এবং তিন মাস পর ভিকটিম অন্ত¡সত্তা হলে তার শারীরিক পরিবর্তনের কারণে বিষয়টি তার পিতা-মাতা জিজ্ঞাসাবাদ করলে উক্ত ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। এই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আসামি ইসমাইল (২৭)এর বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল ২৩ তারিখে ধারা ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামি বাড়ি থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিল। মামলা হওয়ার পর থেকে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প উক্ত আসামিকে ধরার জন্য বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আখতার এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে ২ মে তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উক্ত মামলার আসামী ইসমাইল ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন ডুমাইন গ্রামে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আক্তার এর সার্বিক তত্বাবধানে ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রাম থেকে ইসমাইল(২৭) পিতা-মইনুদ্দিন সাং-মদনডাঙ্গী থানা-বালিয়াকান্দি জেলা রাজবাড়ীকে গ্রেফতার করে।