জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন ও সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী রাজবাড়ী এর ব্যবস্থাপনা নাটক “নবাব থেকে শেখ মুজিব” এর ৩য় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে রবিবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে এ নাটক পরিবেশিত হয়। নাটকে অংশগ্রহণ করে স্বদেশ নাট্যাঙ্গন রাজবাড়ী, সরকারি কলেজ থিয়েটার ও বিএনসিসি প্লাটুন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র রেপার্টরী দল ও প্রত্যাশা থিয়েটারের শিল্পীবৃন্দ।
নাটকটি রচনা করেছেন অজয় দাস তালুকদার ও নির্দেশনায় ছিলেন অসীম কুমার পাল। ম. নিজামের নাটক প্রয়োগ পরিকল্পনার সাথে সহ নির্দেশক হিসেবে ছিলেন গোলাম মোর্তোজা সাগর ও উচ্ছ্বাস কুমার ঘোষ। আবহসংগীতে ছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস মিমি, তাল যন্ত্রে ষষ্ঠী কুমার দে ও রেকর্ড মিউজিক সামিনা পারভীন সুমি। আলোক প্রক্ষেপণের ছিলেন অজয় দাস তালুকদার। অভিনয়ে মাসুদুজ্জামান ফিরোজ, গোলাম মোর্তজা সাগর, উচ্ছ্বাস কুমার ঘোষ, যাকারিয়া খান জনি, ইশারা খাতুন, শেখ রাব্বি, আসিফ সরদার, নয়ন কুমার বিশ্বাস, মাজহারুল ইসলাম, শামিম আহমেদ, সাজিব সরকার, সিঁথি সান্যাল, তামান্না আমান মিষ্টি, মাহফুজা আক্তার, আশরাফুল ইসলাম সহ ফরিদপুর থেকে অতিথি শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন নিরব ইমতিয়াজ শান্ত ও চয়ন সাহা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনীর উপরে ৬৪ জেলায় নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। দেশব্যাপী যে সকল নাটক মঞ্চায়ন হয়েছে তার মধ্যে “নবাব থেকে শেখ মুজিব । নাটকটির প্রশংসা করেছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাস, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যা, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রমুখ।
১৭৫৭ সালের নবাব সিরাজউদ্দৌলার থেকে শুরু করে পলাশীর যুদ্ধ, বাঘাযতীন, মাস্টারদা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, ব্রিটিশ আন্দোলনের পরবর্তীতে শেখ মুজিবের শৈশবকাল, রাজনীতির সূচনা, ভাষা আন্দোলনের মুজিবের অবদান, ৬ দফা ও মুক্তিযুদ্ধ। লালপুর টর্চার সেল থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, পরবর্তীতে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে নাটক শেষ হয়।