রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সুবিধাবঞ্চিত কুশাহাটা চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের মাঝে এক দিনে এক কোটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।২৯ মার্চ মঙ্গলবার সারা দিন ব্যাপী গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কুশাহাটা হালিম প্রামানিকের বাড়িতে দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় ৮৭ জন বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন টিকা প্রদান করা হয়। প্রথম ডোজ ৬ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৭৪ জনকে দেয়া হয়।এসময় চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের টিকা কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক। বাড়িতে বসে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়ে উপস্থিত প্রায় সবার মুখে ছিলো তৃপ্তির হাসি। প্রথম ডোজ নেয়া লোকজনের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। জানা যায়, এক দিনে এক কোটি টিকা কর্মসূচিতে গত মাসে ৬০ জন মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছিল। এবার নতুনদের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজধারীদের উপস্থিতিও ছিলো কম।এসময় টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্যারামেডিক মো. সাব্বির এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দৌলতদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটার জায়েদুল ইসলাম ভ্যাকসিন প্রদানে সহযোগিতা করেন। ভ্যাকসিন কার্যক্রমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুশাহাটা গ্রাম পরিচলনা কমিটির সভাপতি মো. মকবুল মন্ডল, কুশাহাটা এলাকার ব্যবসায়ী মো. হালিম প্রামানিক, দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠ সংগঠক মো. সাজ্জাদ হোসন, রাসেল আহমেদ প্রমুখ। এসময় টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে টিকা ক্যাম্পের সুপারভাইজার দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠ সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, কুশাহাটা চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত। তাদের শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ হলো নদীপথ। আর এ নদীপথে পারাপারে রয়েছে নানা সমস্যা। আর এ সমস্যার কারণে তাদের এখানে এসে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত এ অঞ্চলে ৩৩০ জনকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি পরবর্তী ক্যাম্পে সকলকেই টিকার আওতায় আনতে পারবো বলে আশা করি।