রাজবাড়ীর পাংশায় সম্প্রতি লাইন্সেস না থাকায় শহরের মৈশালা ডা.মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টার সীলগালা করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সীলগালার ২দিন পার হতে না হতেই প্রতিষ্ঠান খুলে কার্যক্রম শুরু করেছে ডা.মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় ডা. মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টারের সদর দরজায় তালা লাগানো রয়েছে। তবে তার ওই গেটের সামনে পাহারা দেওয়ার জন্য নিজেস্ব কর্মচারী রয়েছেন কে আসল বা কেউ এদিকে আসে কি না তা দেখার জন্য, রোগী দেখাব বলে প্রতিবেদক সেখানে যেতে সক্ষম হয়, গিয়ে দেখাযায় তিনি রোগী দেখছেন, বেশ কয়েকজন রোগী অপেক্ষামান রয়েছে।
ডা.মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টার আপনার প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে আপনি এখানে কিভাবে রোগী দেখছেন এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলে আমি এখানে রোগী দেখতে পারি কোন সমস্যা নেই, আমি তো ডা. মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টারে রোগী দেখছি না সেটা বন্ধ রয়েছে।
কথা বলতে বলতে তিনি একজনের ফোনে ধরিয়ে দিলেন জানতে চাইলাম তিনি কে অপর প্রান্ত থেকে তিনি পাংশা হাসপাতালে দির্ঘদিন কর্মরত সেনেটারী ইন্সেপেক্টর মোঃ তৌবুর রহমান তিনি প্রতিবেদককে বুঝাতে চাইলেন সে উপরে রোগী দেখতে পারেন। প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল নিচের তলায় সীলগালা উপর তলায় তিনি রোগী দেখতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে তৌবুর রহমান বলেন আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাসনাত আল মতিন বলেন- তিনি রবিবারে ডা.মঈন চক্ষু ও ফ্যাকো সেন্টারের পক্ষ থেকে তারা সিভিল সার্জন অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন- আমি জেলায় একটি মিটিং এ আছি বিষয়টি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান।
এ দিকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে যে সকল প্রতিষ্ঠান সীলগালা করা হয়েছিল তারাও কি সদর দরজা বন্ধ রেখে চিকিৎসার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রোগী ধরছে কি না তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে বলে মনে করছেন পাংশার সচেতন মহল।