ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়েও খেলাপির নোটিশ পেয়েছেন শতাধিক কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংক শাখায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, রাজবাড়ী শাখায় ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে রেজাউল হকের বিরুদ্ধে ২৭ জুলাই বুধবার তিনি একটি নোটিশ পান। তখন থেকেই রেজাউল হকের সব কার্যক্রম স্থগিত (সাময়িক বরখাস্ত) করা হয়েছে।
২০১৫ সালে রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে সদর উপজেলার কৃষকদের দেওয়া ঋণ বিতরণে দালাল চক্র ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নয়ছয় করা হয়। প্রকৃত অর্থে উপযুক্ত কৃষকরা ঋণ পাননি। আবার জায়গা-জমি নেই এমন অনেকে ঋণ পেয়েছেন।
এ ঘটনার দীর্ঘ সাত বছর পর গ্রহীতাদের ঋণখেলাপির নোটিশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংক থেকে।
এমন জালিয়াতির শিকার হয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের গোবিন্দপুরের মন্ডল পরিবারের তিন ভাই আজিম উদ্দিন মন্ডল, ছলিম মন্ডল ও ইউসুফ মন্ডলসহ ওই এলাকার অনেকে। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেননি অথচ পেয়েছেন ঋণখেলাপির নোটিশ। ঋণখেলাপি কারও ১ লাখ ১০ হাজার কারও ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
তারা বলেন, ‘আমাদের মতো এলাকার অনেকে ঋণখেলাপির নোটিশ পেয়েছেন। ইউনিয়ন তহসিল অফিস থেকে আমাদের জমির খতিয়ান নিয়ে নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অন্যদের ছবি দিয়ে রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল ও কিছু স্থানীয় দালাল।’
অভিযুক্ত তৎকালীন রাজবাড়ী শাখা কৃষি ব্যাংকের মাঠকর্মী রেজাউল বর্তমানে বদলিজনিত কারণে শরীয়তপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত।
রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মোতাহার হুসাইন বলেন, ‘রেজাউলের বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নাই। কারণ তখন আমি এই শাখায় ছিলাম না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যোগদান করেছি।’