বর্ষীয়ান নেতা, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রথিক অ্যড. রফিকুস সালেহীন আর নেই। সোমবার সকাল ৯টায় বার্ধক্যজনিত কারণে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দায় তার নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অ্যড. রফিকুস সালেহীন ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনেরও তিনি একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন। ৯০ এর গণ অভ্যূত্থান, ৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অ্যড. রফিকুস সালেহীনের ছেলে পাপন সালেহীন জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সোমবার সকালে তার বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার সময়টুকুও পাননি। বাড়িতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিকেলে তার মরদেহ প্রথমে রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশন কার্যালয় ও পরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেওয়া হলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে ভবানীপুর পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, যুগ্ম সম্পাক সোহেল রানা টিপু, রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যড. এটিএম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যড. বিজন বোস, রাজবাড়ী থিয়েটারের আহ্বায়ক বাবলা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা, রাজবাড়ী জেলা সাধারণ আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।