হযরত ইব্রাহীম (আ:) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় থাকবে। প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানীকৃত পশুর গোশত আত্মীয় স্বজন ও গরীব দু:খিদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষ মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন।
শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদ-উল-আযহা। আসুন আমরা সকলে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখি কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখি, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলি।
প্রতিবারের মত এবারও ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ঈদ-উল-আযহার এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
আজ রাজবাড়ী তথা সমগ্র পৃথিবীর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। এ দিনে হিংসা, হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার জামাত ও ঈদ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে দিনটি সুদীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে ত্যাগের মহিমায় পালিত হয়ে আসছে। করোনা ভাইরাসের কারণে মুসল্লীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরিধান করে ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। বছরের প্রতিটি দিন যেন হয় ঈদের দিনের ন্যায় আনন্দময়। মহান স্রষ্টার নিকট এই হোক আমাদের সম্মিলিত কামনা – ঈদ মোবারক।
জয়বাংলা
বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।
এম এম শাকিলুজ্জামান
পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী।