রাজবাড়ী জেলার পাংশা-কালুখালী- বালিয়াকান্দি উপজেলার পানি নিষ্কাশনের স্বনির্ভর খাল যা গড়াই নদীতে মিশেছে। এ খালে বালিয়াকান্দির অংশে রয়েছে ৩টি স্লুইচ গেট ৩টি ব্রীজ। এ খালে নবাবপুর ইউনিয়নের জিয়েলগাড়ী গ্রামে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাইপ কালভার্ট নির্মাণ করেছে মৎস্য দপ্তর। যেটিতে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের মতে, ৫০/৬০ ফুট খালে ১০ ফুট ২ পাইপ বিশিষ্ট বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা মোটেই প্রয়োজন ছিল না। এ কালভার্ট নির্মাণের ফলে পানি পথে বাধা সৃষ্টি হয়ে পানি পথের পরিবর্তন ঘটবে সেই সাথে খাল সংলগ্ন পাকা রাস্তা হুমকিতে পড়বে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব জানান, এত বড় খালে এতো ছোট কালভার্ট করাতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশী হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাফ জানান, পূর্বের এষ্টিমেটের কাজ। পরে খাল খনন করা হয়েছে বলে কালভার্ট ছোট হয়েছে। যেটুকু ত্রুটি ছিল মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে ঠিক ঠাক করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ওয়াপদার খাল একবার বিধি বহির্ভূতভাবে মৎস্য দপ্তর খনন করেছে। এবার আবার যেখানে যা প্রয়োজন না। তাই করেছে । এভাবে পরিকল্পনা বিহীন কাজে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী। আমি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানয়েছি। তিনি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন।