বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

গোয়ালন্দে ট্রলার ও জাল জব্দ মা ইলিশ রক্ষায় দায়সারা প্রচারণার অভিযোগ

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫২ Time View

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় সোমবার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ৫শ মিটার কারেন্ট জাল ও ৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে মা ইলিশ রক্ষা টাস্কফোর্স কমিটি।

পরে দুপুরের দিকে দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় লক্ষাধিক টাকার ইঞ্চিনসহ ট্রলারটি নিলামের মাধ্যমে মাত্র ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এছাড়া জালগুলো পুড়িয়ে এবং মাছগুলো স্হানীয় দুস্হ্যদের মাঝে বিতরণ করেন টাস্কফোর্স কর্তৃপক্ষ।

তবে অভিযোগ উঠেছে, এবছর মা ইলিশ রক্ষায় যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালায়নি স্থানীয় প্রশাসন। জেলেদের এখনো দেয়া হয়নি খাদ্য সহায়তার চাল। নিষেধাজ্ঞার চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার সকাল ১১ টায় একটি জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে উপজেলার মৎস্য অফিস। এলাকায় মৎস্যজীবির সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক হলেও সভায় একশ জনের মতো লোক উপস্থিত ছিলেন।

এবছর মন্ত্রণালয় নির্দেশনায় উল্লেখ করেছে, বিগত বছরের ন্যায় জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মাছ ঘাট, আড়ৎ, বাজারসমূহে মাইকিং, জেলেপল্লী, মাছ ঘাট, বাজার, আড়ৎ, ল্যান্ডিং সেন্টারে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা সমাবেশের আয়োজন, জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার ও প্রচারণা, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ট্রলার মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, ট্রাক ও বাস মালিক সমিতি এবং মৎস্যজীবী সমিতিকে এতদসংক্রান্ত বিধি-বিধান অবহিতকরণ ইত্যাদি প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালানো। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর বেশিরভাগই এ বছর চোখে পড়েনি।

দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় আজিবর হোসেন জানান, প্রতিবছর ব্যাপকভাবে প্রচারণা হয় এবং জেলে পাড়ার সামনে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে বিশাল সাইনবোর্ড টাঙানো হয়, এবছর এগুলোর কিছুই করা হয়নি।

নদী পাড়ের ছাত্তার মেম্বার পাড়ার সোহেল বেপারী জানান, এবছর শুধু মাছ বাজারে একটা সাইনবোর্ড দেখেছিলাম আর আজকের ছোট্ট একটা আলোচনা সভা ও জাল পোড়ানো ও টলার জব্দ করা দেখলাম। তিনি আরও বলেন, জেলেরা শিক্ষিত না, তারা নদীতে থাকে। তাদের কাছে টাচ ফোন বা অন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। তাদেরকে আরো আগে থেকে সতর্ক করলে ভালো হতো। তা হলে তাদের এভাবে সম্পদের ক্ষতি হতো না।

উপজেলা মৎস্য অফিস জানায় এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিপণন বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। মাঠে থাকবে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা।

সূত্র আরো জানায়, যে সমস্ত বেসরকারি সংস্থা থেকে জেলেরা ঋন নিয়েছে সেগুলোর কিস্তি আদায় একমাস বন্ধ রাখতে অনুরোধ করবে প্রশাসন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, আমরা এবছর অনেক পরে চিঠি পেয়েছি। তখন পূজার ছুটি থাকায় প্রস্তুতি সভা করা সম্ভব হয়নি তাই এখন সভা করে বিষয়টি জেলেদেরকে অবহিত করছি। মাইকিং সহ অন্যান্য প্রচারণা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা টাস্কফোর্স কমিটি নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। এসময় জেলেসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করি। নিষেধাজ্ঞাকালীন সহায়তা হিসেবে ইলিশ সংশ্লিষ্ট জেলেদের ৩০ কেজি করে খাদ্য সহায়তার চাল দেয়া হবে বলে তিনি জানান ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto kaskustoto