মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত উপজেলা ট্রাস্কফোর্স গোয়ালন্দের আয়োজনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে শুরু করে চর কর্ণেশন, চর মজলিসপুর, ধোলাইয়ের চর, কলা বাগান চ্যানেলসহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে পদ্মা নদীতে কোনো জেলে দেখা যায়নি। তবে নদী পাড়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে অসাধু কিছু জেলে জাল রেখেছিল। এরমধ্যেই একটি মাছ ধরা ট্রলার ফেলে ২-৩ জন জেলে দৌড়ে পালায়। পরে সেই ট্রলার, জাল জব্দ করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের দাড়িত্বে থাকা পেটি অফিসার শাহিন আলম, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মেহেদী হাসান অপূর্ব সহ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের একটি দল।
ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কঠোর অবস্থান থেকে অভিযান পরিচালনা চলছে এবং এ অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে। নদীতে থাকা জেলেদের আটকসহ জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ এবং আটকৃতদের মৎস্য আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ নদী থেকে আনুমানিক ৫শ মিটার কারেন্ট জাল, মাছ শিকারে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও দেড় কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল ফেরিঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা, মাছগুলো নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং নৌকাটি নৌ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। গত বছরের তুলনায় এবারের অভিযান আরও জোরালো করা হবে। যাতে কেউ পদ্মা নদী থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরতে না পারে। প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।