গোয়ালন্দ শহরের প্রধান সড়ক ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও একাধিক স্থানে সংকুচিত করে প্রভাবশালীদের স্থাপনা রক্ষায় আড়াই থেকে তিন ফুট সড়ক ভেঙে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গোয়ালন্দ শহরের জলাবন্ধতা দুর করা ও পানি নিষ্কাশন করতে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পে আওতায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ৭টি ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রশস্ত এই ড্রেনের গভীরতা হবে গড়ে ৭ ফুট। বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গোয়ালন্দ পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেকেআর এন্টারপ্রাইজ চলতি বছর এপ্রিল মাসে এ ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোয়ালন্দ পৌর শহরের প্রধান সড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার অভিমুখে ড্রেন নির্মাণের জন্য বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙ্গে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০-৭০ মিটার পর কে মুহিত হিরার বাড়ির সম্মুখে শতবর্ষী পুরাতন পাকা সড়কের প্রায় ৩ ফুট অংশ কেটে ড্রেন নির্মাণের জন্য খনন করা হয়। ব্যাস্ততম এ সড়ক সংকুটিত ও ক্ষতি করে কাজ করায় স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে গত শনিবার (২৮ মে) কাজটি বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিজুল হক খান মামুন সরেজমিনে এসে নিয়ম ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষতি করে ড্রেন নির্মাণে কর্মরত ৪ শ্রমিককে আটক করেন। ৩ ঘন্টা আটক থাকার পর চার শ্রমিক মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, ইতিমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে ড্রেন নির্মাণ করা করা হচ্ছে। কিন্তু ২/১ জন প্রভাবশালী ব্যাক্তির স্বার্থ রক্ষায় কেন এভাবে ব্যস্ততম সড়কের ক্ষতি করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজ করতে নকশার বাইরে গিয়ে সড়ক কাটার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে যথাযথ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ড্রেন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়ে লিখিত চিঠি প্রদান করা হয়েছে। এবং এই শর্তে পুনরায় কাজটি শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।