মীর মশাররফ হোসেন
সুজয় কুমার পাল
মানুষের দোলায় রাঙাচাঙ হয়ে
পদমদিতে যিনি আসেন
তিনি মোদের সবার শ্রদ্ধার
সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন।
মনের কোনেতে গেঁথে রেখে গেছেন
হাজারো স্বর্ণবিন্দু
সে যে কারবালার মাঠে
হোসেন বিলাপের যুগান্তকারী বিষাদ সিন্ধু।
আঁখি জল ফেলে দিয়ে ছিলে তুলে
ত্রিপর্বে বিষাদ সিন্ধু
সবার অন্তরালে হয়ে আছে আজ
মানব সমাজের বন্ধু।
সঙ্গিনী হয়ে বিবি কুলসুম
বাধা খাতা প্রহসন
লিখেছেন তারই আত্মজীবনী
উদাসীন পথিকের মন।
গো জীবন প্রবন্ধে ভরে আছেন যিনি
বসন্তকুমারী নাটক
বেহুলা নাটকে গীতাভিনয় করে
এখন হয়ে আছেন শুধুই ফটোক।
রত্নাবতীর গল্প দিয়ে
ভরিয়ে দিয়েছে মন
সবার হৃদয়ে গেঁথে আছে আজও
জমিদার দর্পণ।
তোমরা কি শুনেছো?
মীর মশাররফ হোসেনের নিয়তি কি অবনতি
জানো কি তোমরা সবার জন্য
রেখে গেছেন
সংগীতে লহরী গীতি।
প্রেমের মাঝেতে নিজেকে ছাড়িয়ে
লিখেছেন প্রেম পারিজাত
কাব্যের সাথে মদিনার গৌরবে
করেছেন বাজিমাত।
তোমরা কি ভাই শুনেছো হেথায়
গাজী মিয়ার বস্তানি
শিশুদের জন্য রেখে গেছেন তিনি
সর্ববৃহৎ হীরক খনি।
তার কাছে তে সখ্য গড়তে
ছিলেন পঞ্চনারী
ঈদুল ফিতর লিখেছেন তিনি
পালন করেছেন নিজ বাড়ি।
তহমিনা ছিল উপন্যাসে ভরা
গড়াই ব্রিজের কথা
স্ত্রী বিয়োগে পেয়েছেন কবি
হৃদয়ে অনেক ব্যথা।
আজিজন নেহার পত্রিকার মাঝে
সাহিত্য করেছে প্রকাশ
রাজিয়া খাতুন গল্পের মাঝে
নিজেকে করেছেন বিকাশ।
সাহিত্য ভান্ডারে
মীর মশাররফ হোসেন
নিজেকে করেছেন উৎসর্গ
বালিয়াকান্দিতে জন্ম নিয়েছেন
বাংলাদেশের গর্ব।