তোমাকে চাই
ফারহানা মিনি
গহীন অন্ধকার!!
কোথাওবা জোনাকির আলো আঁধারি
নিঃশ্বাসের শব্দটাও মনে খটকা লাগছিলো
এইবুঝি কেউ এলো আবার, হানাদার প্রহরী।
ঠাস্ ঠাস্ গুড়ুম গুড়ুম
থেমে থেমে গুলির আওয়াজ,
ঠান্ডায় গা ধরে আসছে তবুও
বেঁচে থাকতে হবে জলাশয়ে আজ।
গলাবুক পানিতে কচুরীর ফোকল দিয়ে
চোখদুটো অতন্দ্র প্রহরীর মত অটল
মন চলে যায় হাজারো স্মৃতিরোমন্থনে
নস্টালজিয়ায় ডুবে হই অতল।
মনে পড়ে মা তোমার কথা
তোমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
পিছু না হটার, প্রতিশোধ
ভাঙবো না সে শপথ একরত্তি।
বাবা তোমার রক্ত মাখা চেক শার্ট
আমার হৃদপিন্ডে শিরায় ধমনীতে রক্তক্ষরন
প্রতিজ্ঞাবাক্যে বেঁধেছিলেম নিজেকে
ঐদিন ভগ্নচিত্তে না শুনে শত বারণ ।
সিমি, রানা তোরা অনেক বড় হবি
এই বাংলায় আবার দলবেঁধে,
সোনালী বিকেলে ডাঙ্গুলী, কানামাছি
গোল্লাছুট, সাতচারা খেলবি চোখ বেঁধে।
বরাপি আমার স্বপ্ন দেখানোর বাতিঘর
কাজলা দিদির মত তোমাকে
হাাঁ তোমাকেও কেড়ে নিয়েছে ওরা
পর করে দিয়ে তোমার স্নেহ ভালোবাসাকে।
কলেজের করিডোরে
তোমার সাথে যেদিন প্রথম দেখা আড়চোখে
মুচকি হেসেছিলেম, তোমার তেড়ে আসা চোখে,
দমিনি তবুও, প্রিন্সিপাল স্যারের বকুনি দেখে।
সব কিছুর বলিদানে, হ্যাঁ সব কিছুর বিনিময়ে
তোমাকে চাই, স্বাধীনতা
আমি তোমাকে চাই।
চাই স্বাধীন দেশে বাঁচার অধিকার, স্বাধীনতা।