রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নারুয়া বাজার বনিক সমিতির পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের আহবানে নারুয়া চাউল বাজারের ঘরে এক সভায় সভাপতি আলমগীর হোসেন মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক গণি শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলামসহ পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।
ব্যবসায়ীদের পাশ কাটিয়ে কমিটি গঠন ও ওই সভায় সম্মন্বিত মালিকদেরকে কটুক্তির প্রতিবাদে শনিবার সকালে নারুয়া বাজার মাংস ঘরে নারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মার্কেট মালিক সায়েদুর রহমান চুন্নুর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, নারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার,নারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওহাব মন্ডল, নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম চাঁন্দু, তুহিনুর রহমান, ফারুক হোসেন, রবিউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ঝন্টু, মোক্তার খান, নয়ন হোসেন, সৈয়দ আলী মাষ্টার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম তার ইচ্ছা মতো কমিটি ঘোষণা করেছেন। তার নিজের লোক দিয়ে কমিটি ঘোষণা করলেও বাজার ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আজ থেকে নিজেদের পাহাড়া নিজেরা প্রদান করাসহ ঘোষিত কমিটির প্রতি অনাস্থা ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
সদ্য ঘোষিত বণিক ও মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খানের ছেলে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ঝন্টু খানকে সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলামকে পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে এ ধরনের বিরোধকে কেন্দ্র করে অগ্নি সংযোগ সহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলাম জানায়, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ ক্রমে সবাইকে নোটিশ করে ও মাইকিং করে সভা আহব্বান করা হয়েছিল। সকলের সম্মতিতে কমিটি করা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকল গ্রুপের লোক কমিটিতে রাখা হয়েছে। সেই সভায় কারও অবিযোগ থাকলে বলতে পারতো। যারা মিটিংয়ের খাতায় স্বাক্ষর করেনি তারা আজ কমিটি করছে। তাদের উপর বাজার পরিচালনার দায়িত্ব ছেরে দিচ্ছি তারাই পরিচালনা করুক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসিবুল হাসান জানায়, স্থানীয় সরকারের ম্যানুয়েল দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।