পবিত্র ঈদুল-ফিতর আসন্ন। তবে এখনও পর্যন্ত অতিরিক্ত ফেরি ও লঞ্চ বৃদ্ধি করা হয়নি এই নৌরুটে। ৩টি ফেরি বিকল থাকার কারণে মাত্র ১৭টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরি ঘাটে যানবাহনের একাধিক সারি রয়েছে।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাট সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদে ঘরমুখি এবং ঈদ শেষে কর্মমুখি যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের বহরে ফেরি বৃদ্ধি করে ২১টি এবং লঞ্চ বৃদ্ধি করে ২১টি চলাচল করবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ/ বিআইডব্লিউটিসি। কিন্ত ঈদ ঘনিয়ে আাসলেও বৃদ্ধি করা হয়নি লঞ্চ ও ফেরি। বরং একাধিক ফেরি বিকল হওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী ট্রাকের একাধিক দীর্ঘ সারি রয়েছে। ফেরি ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে গিয়ে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে সংযোগ সড়ক গুলো মেরামত না হওয়ায় বাঁশ ও কাঁঠের সেতুর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে বড় ধরনে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন লঞ্চ ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
ফরিদপুর বোয়ালমারীগামী সুজন নামের এক যাত্রী বলেন, ঈদে এখনও ঘর মুখি যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পায়নি। এতেই ঘাটে ঘাটে এত যানজট। তাহলে ঈদের ২/৩ দিন আগে কি অবস্থা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ঈদে বিগত বছর গুলোর চেয়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি হবে যাত্রী দুর্ভোগ।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দীর্ঘদিন দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সংযোগ সেতু পরিত্যক্ত থাকলেও মেরামত করা হয়নি। এখন ঈদ উপলক্ষে পুরান কাঠ ও বাঁশ দিয়ে কোন রকম জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। এতে লঞ্চ ঘাটে দুর্ঘটনা হওয়া আশংকা রয়েছে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌবহরে লঞ্চ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ঘরমুখি যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেলে লঞ্চ বৃদ্ধি করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) (ভারপ্রাপ্ত) পোর্ট অফিসার শাহ আলম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি এই নৌরুটে লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্য চৌহান জানান, বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১১টি রোরো বড়), ৫টি ইউটিলিটি (ছোট), ১টি ছোট সহ ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে অতিরিক্ত ফেরি বৃদ্ধি করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি তিনি।