পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপমুন্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদেরকে নতুন উদ্দমে বাঁচার প্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। করোনাকাল অতিক্রম করে ০২(দুই) বছর পর আজ প্রত্যুষে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে।
আবার আসবে বৈশাখ মাস, চৈত্রের অবসানে। নববর্ষের নতুন হাওয়া, উষ্ণতা দিবে প্রাণে। মনের সকল গ্লানি ভুলে, জীবন নতুন ভাবে গড়বে, আবার নতুন স্বপ্ন দেখবে নববর্ষের টানে। ঢাক ঢোল মাদলের তালে রং বেরঙের মনের দেয়ালে বাঙালি সংস্কৃতি উজ্জীবিত থাক যুগে যুগে।
মুছে যাক সকল কলুষতা, শান্তির বার্তা পৌঁছে যাক বাঙালির প্রতি ঘরে ঘরে। নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত, সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।
জয় বাংলা,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
এম এম শাকিলুজ্জামান
পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী