দেশের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে খ্যাত। এর মধ্যে পেয়াঁজ উৎপাদন সবার শীর্ষে। চলতি মৌসুমে একদিকে অসময়ে বৃষ্টি অন্যদিকে উৎপাদন কমের সাথে উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য অনেক কম হওয়ায় দফায় দফায় লোকসানের বোঝা গুনতে হচ্ছে কৃষকের। বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের কৃষক খলিলুর রহমান জানান, এবার পেঁয়াজ আবাাদ শুরু হতে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ঘন ঘন ভারী বর্ষণের ফলে উৎপাদন কম হয়েছে। অপরদিকে মন প্রতি উৎপাদন খরচ ১৩ শত টাকা। পেয়াঁজ ঘরে তোলা, ধান পাটের আবাদ, রমজান মাসের বাজার সব মিলিয়ে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের বড় অংশ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজারে মণ প্রতি পেঁয়জের দাম ৭শ থেকে ৮শ টাকা। বহরপুরের কৃষক শ্যামল দাস, ইসলামপুরের মিন্টু সেখ, নারুয়ার আলেক সেখ জানান, এ মৌসুমে ২২শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর কোন কোন জমিতে ২০-২৫ মন আবার কোন জমিতে ৫-১০ মন পর্যন্ত পেঁয়াজ হয়েছে। এ ক্ষতিপূরণ করা কঠিন। তারা আরও জানান, প্রতিবছর অধিকাংশ পেঁয়াজ ঘরে রেখে সারা বছরের বাজার খরচ চলতো। এবার প্রায় অধিকাংশ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। মাঠে যতটুকু আবাদ হয়েছিল ফুলে মাছি না থাকার কারনে ফলন খুবই কম হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। সকল কৃষকের এসময় অন্য ফসল আবাদ করতে অর্থের প্রয়োজন। ফলে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশী বলে দাম কম।