রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বাগদুলী বাজারে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে রাইস মিলস, সিমেন্ট ও কাঠের ফার্নিচারের দোকানসহ ১৫টি দোকানঘর ভষ্মীভূত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। রাতেই পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাগদুলী বাজারস্থ রইচ উদ্দিন মিয়ার মার্কেটে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে রাতেই পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন মিয়া গংদের ১৩টি ও মোহাম্মদ আলী খান গংদের ২টি দোকান মোট ১৫টি দোকানঘর ও ঘরে রক্ষিত সমূদয় মালামাল আগুন পুড়ে গেছে।
শনিবার সকালে সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন মিয়া জানান, তার মালিকানাধীন ১৩টি দোকানের মধ্যে ৫টিতে আতর আলী বিশ্বাসের রাইস মিলস, ৩টিতে শীতলের কাঠের ফার্নিচার, ৩টিতে আমীর হোসেনের কাঠের ফার্নিচার, ১টিতে নাজমুলের সাইকেলের পার্সের দোকান ও ১টিতে ছাকেন সরদারের চায়ের দোকান ছিল। এছাড়া মোহাম্মদ আলী খানের মালিকানাধীন ২টি দোকানের ১টিতে সৈয়দ আহমেদের সিমেন্টের দোকান ও অপরটিতে সুরুজ আলীর কাঠের ফার্নিচারের দোকান ছিল। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর পাশে থাকা ১টি ‘স’ মিলসসহ কয়েকটি দোকানের ঝাপ ও শাটারের ক্ষতি হয়েছে। দোকানীরা অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন। অগ্নিকান্ডে সর্বশ্ব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী ও ঘরের মালিকরা।
পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার রয়েল আহমেদ জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন। তবে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণের ফলে বাগদুলী বাজারের কয়েকশ দোকান রক্ষা পেয়েছে। অগ্নিকান্ড বা দুর্যোগ মোকাবেলায় সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।