আজ জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হায়েনারা নিরস্ত্র বাঙালীর উপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে কয়েক সহস্্রাধিক মানুষ হত্যা করে এক বিভিষিকাময় কাল রাত্রি কায়েম করেছিলো। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র নির্বাচনসহ ২৩ বছরের দমন পীড়ন শোষণ-শাসন পেড়িয়ে অত্যাচরের সীমাস্থলনেও যখন পাকিস্তানি বেনিয়ারা হেরে যাচ্ছিলো তখন বাঙালী নিধনের কু-মতলবে অপারেশন সার্চলাইট নামক এক জঘন্য হত্যাযজ্ঞে মেতেছিলো পরাজিতরা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ই মার্চের ভাষণে যে ঘোষণা দিয়ে বাঙালীদের প্রস্তুত করতে সারাদেশের মুক্তিকামী জনতাকে যখন উজ্জীবিত করছিলেন ঠিক তখনি নিরস্ত্র বাঙালীদের নিশ্চিহ্ন করতে রাজধানী ঢাকার পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা রাজপথে ফেলেছিলো লাসের সারি। যার ঢেউ পড়েছিলো সারা দেশে। ভয়ানক এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তার বার্তায় ঘোষণা দেন বাংলার স্বাধীনতা। ভয়ানক সেই রাত্রিতে বাঙলার যে মায়েদের সন্তানেরা শহীদ হয়েছিলেন গভীর শ্রদ্ধায় আজ তাদের স্বরণ করছি।
এছাড়াও জাতির যে শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা ২৫ মার্চের পরে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ মাতৃকাকে একটি পতাকা ছিনিয়ে এনে দিয়েছিলো তাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধায় স্বরণ করছি। বঙ্গবন্ধু আজ নেই কিন্তু তার নির্দেশনায় যে পথে আমরা ধাবিত হয়েছি আজ আমাদের লক্ষ্য হোক সোনার বাংলা গড়ার সেই পথ। যদিও বাংলাদেশ আজ তারই কন্যার হাত ধরে বিশে^র বুকে এক ঈর্ষণীয় অবস্থান তৈরি করেছে। বাংলদেশ আজ বিশ্ব সভ্যতাকে তার স্বপ্ন দিয়ে ছুঁয়ে দিতে চায় । আজ এই ক্ষণে আমরা ২৫ মার্চের রক্তস্নাতের ঢেউ থেকে শপথ নিতে চাই ।
সোনার বাংলা হোক আমাদের স্বর্গ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার
প্রকাশক
দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী।