কুরবানি মানেই শুধু পশু জবাই নয়, এটি আত্মত্যাগ, আনুগত্য ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। ঈদুল আযহার দিন আমাদের ঘর, সমাজ, শহর ভরে ওঠে এই পবিত্র ত্যাগের সৌন্দর্যে। তবে অনেক সময় এই আনন্দের মাঝে আমরা কিছু বাস্তবতা ভুলে যাইÑপরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ এবং আমাদের আশপাশের মানুষের অনুভূতি। ত্যাগের এ পবিত্র উৎসবে রক্ত থাকা অস্বাভাবিক নয়, বরং এটাই কুরবানির সৌন্দর্যের অংশ। কিন্তু দীর্ঘদিন রক্ত ও বর্জ্য পড়ে থাকলে তা যেন এই সৌন্দর্যকেই ম্লান করে না দেয়। ঈদের দিন অনেক জায়গায় এবং রাস্তার ড্রেনের পাশে কুরবানি হয়। ফলে বিভিন্ন স্থানে কুরবানির বর্জ্য পড়ে থাকে এবং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সঠিক সময়ে পরিষ্কার না করায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ, যা সাধারণ মানুষ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেমন সিটি করপোরেশন চেষ্টা করে, তবে নাগরিক সহযোগিতা ছাড়া তা সফল হয় না। এজন্য উচিত পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করা। কুরবানির পর সকল বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলা অথবা মাটিতে পুঁতে রাখা। কুরবানি আমাদের দায়িত্বশীলতার চর্চা শেখায়, তাই পরিবেশ পরিষ্কার রাখা ত্যাগেরই অংশ।
লেখক পরিচিতি:
রাখি আক্তার
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
রাজবাড়ী।