পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপশি অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট অভিমুখে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিল পর্যন্ত অন্তত ৫ কিলোমিটার জুড়ে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়া যানবাহনে দীর্ঘ সারি। এরমধ্যে অন্তত ২ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে জরুরী পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস। পেছনের দিকে আটকে আছে শত শত সাধারন পন্যবাহি ট্রাক। এসকল ট্রাক ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা অপেক্ষা করেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না। তীব্র রোদ ও গরম সেই সাথে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে আটকে পড়া যাননাহনের যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এক ট্রাকচালক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরির অপেক্ষায় দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে আছি। এখন ২ টা বাজে, এখনো জ্যাম ঠেলছি। কখন ফেরিতে উঠতে পারবো বলতে পারছি না।
যশোর থেকে আসা ট্রাক চালক আবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে গোয়ালন্দ মোড়ে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। সকালে সেখান থেকে ঘাটে এসে আবারও দীর্ঘ লাইনে আটকে আছি। এমনিতেই ঘাটে আটকে থেকে খরচ বেশি হচ্ছে, তারপর আবার ফেরির টিকিট কাটতে দালালদের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। যানজটের সুযোগে দালাল চক্র অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে তখন আর এ কষ্ট থাকবে না।
বিআইডাব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান জানান, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত ৩/৪ দিন ধরে দৌলতদিয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ কারণে মহসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হচ্ছে। এ রুটে ১৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে পচনশীল পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।