রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল ইসলাম ওরফে নুরাল পাগলের কবর উঁচু স্থান হতে সমতল ভূমিতে স্থানান্তর করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে গোয়ালন্দ উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি এ সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির আহবায়ক উপজেলা ইমাম কমিটির সভাপতি ও গোয়ালন্দ পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. জালাল জালাল উদ্দিন প্রামানিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গোয়ালন্দে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করে আসছিলেন নুরুল ইসলাম ওরফে নূরাল পাগল। আমরা তখন তীব্র গণ আন্দোলনে নামি। আন্দোলনের মুখে তখন গোয়ালন্দ ছেড়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন। সে গত মাসের ২৩ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর পূর্বে সে কাবা শরীফ আদলে ১২ ফুট উঁচু বেদী তৈরি করে। মৃত্যুর পর তাকে সেই বেদীর উপরে অর্থাৎ মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচু স্থানে তাকে কবর দিতে নসিহত করে যান। বিতর্কিত ওই কবরটিকে পবিত্র কাবা ঘরের আদলে গড়ে তুলে তাতে কাবার মতো চারদিকে কালো রং করে দেয় এবং তার চারপাশে সোনালী রংয়ের বর্ডার দেন।
মাওলানা জালাল উদ্দীন আরও বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে ইতিমধ্যে দুই দফা আলোচনা করে। আলোচনা সভা হতে নুরাল পাগলের পরিবার প্রথমে এক সপ্তাহ সময় নেয়। তা অতিবাহিত হওয়ার পর আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আরো এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে নেয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কবর নিচে নামানোর কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুইদিন আগে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়কে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্হিত ছিলেন ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব আলী খান, রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস মোল্লা, আল জামিয়া নিজামিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আমিনুল ইসলাম কাসেমী, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মুহিত হিরা, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মন্ডল, মুফতি শামসুল হুদা, মুফতি ওমর আজম, হাফেজ আবু সাইদ, কুরবান আলী প্রমূখ।