রাজবাড়ীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্মিত আধুনিক মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেও কৃষকরা সুফল পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরে রাখা পেঁয়াজ ৬ থেকে ৯ মাস ভালো থাকার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই পচন ধরেছে। এতে কৃষকরা হতাশ।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় কৃষকদের জন্য ৫০টি মডেল ঘর নির্মাণ করা হয়। চলতি বছর পাংশা উপজেলাতেও আরও ৫০টি ঘর নির্মাণ শেষে কৃষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। কংক্রিটের পিলারের ওপর নির্মিত ২৫ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট চওড়া ঘরগুলোতে রয়েছে তিন স্তরের মাচা। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সাপেক্ষে যৌথভাবে পাঁচজন কৃষক প্রায় ৩শ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন এসব ঘরে।
পেঁয়াজ সংরক্ষণকারী কৃষকরা জানান, আধুনিক ঘর নির্মাণে তাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু মাত্র ৩ মাসেই সংরক্ষিত পেঁয়াজের অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করেছেন। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে। আগে প্রচলিত পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করাই বেশি কার্যকর ছিল। সরকার প্রদত্ত ঘরই এখন তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে ঘরে পেঁয়াজ না রেখে আলু, রসুনসহ অন্যান্য ফসল রাখছেন।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রকল্পের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশিরভাগ কৃষক দেশি জাতের পরিবর্তে হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছেন। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের উপযোগী নয়। কৃষকদের দেশি জাত রাখতে বলা হলেও অনেকে মানেননি।