রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে হামলায় গুরুতর আহত মিলন ওরফে কদম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। পুলিশ হামলার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার সকালে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী মিয়া পাড়া গ্রামের মো. ফরহাদ মিয়ার ছেলে মো. মিজান মিয়া (১৯), সদাশিবপুর গ্রামের মৃত নান্নু শেখের ছেলে মো. লিমন শেখ (২০), পদমদী মিয়া পাড়া গ্রামের মো. মোতালেব শেখের ছেলে মো. রাজিব শেখ (২৫), ঘোড়ামারা গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক ফকিরের ছেলে মো. সোহাগ ফকির (২১)। নিহত মিলন ওরফে কদম কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চর কুলটিয়া গ্রামের খবির মোল্লার ছেলে।
বালিয়াকান্দি থানা সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আরজু গ্রুপ কাঁচা বাজারের খাজনা তুলতে গেলে শিমুল গ্রুপ বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। একাধিকবার মারামারি সংঘটিত হয়। গত ২৫ মে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টায় শিমুল গ্রুপের লোকজন কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের খবির মোল্লার ছেলে আরজু (৪০), মো. লোকমান মন্ডলের ছেলে মিলন ওরফে কদম (৩৫), হাবিল মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মন্ডলদের (৩৮) দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কালুখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আরজু, মিলন ওরফে কদমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং বাচ্চুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ২৭ মে দুপুর পৌনে ২টার সময় মিলন ওরফে কদম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় মিলন ওরফে কদমের বড় ভাই মো. আফজাল হোসেন ২৭ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় বুধবার মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রতক্ষভাবে জড়িত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বুধবার রাজবাড়ী আদালতে চালান করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।