ভালোবাসা ও যত্ন পেলে অনেক কিছুই সম্ভব। রাজবাড়ীর সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বড় ভবানীপুর মোল্লা পাড়া গ্রামের হারুন মন্ডলের বাড়িতে। যতœ ও ভালোবাসা পেয়ে অবিকল মানুষের মতো করে কথা বলে দুটি শালিক পাখি। প্রায় দুই বছর ধরে পাখি দুটিকে লালন পালন করে কথা বলা শিখিয়েছেন হারুন মন্ডল। পাখি দুটি মানুষের সব কথা শুনে অবিকল সেই ভাষায় কথা বলতে পারে।
পাখি দুটি খাচার মধ্যে লাফালাফি করছে। পাখি দুটিকে দেখতে উৎসুক জনতা ছিল ওই বাড়িতে। আগত মানুষ পাখি দুটির সাথে যা বলে, প্রতি উত্তরে পাখি দুটিই তাই বলছে।
হারুন মন্ডল জানান, দুই বছর আগে আমার বাড়ির পাশের রাস্তায় গর্তের মধ্যে দুটি শালিক পাখির বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখি। ছোট বেলা থেকেই পাখির প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা রয়েছে। সেই ভালোবাসা থেকেই পাখির বাচ্চা দুটোকে বাড়িতে নিয়ে আসি। সন্তানের মত লালন-পালন করে পাখি দুটিকে বড় করে তুলি। শখ করে ওদের নাম রেখেছি মন্টু এবং ফাতেমা। ওরা এখন আমার পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে। আমাকে বাবা আর আমার স্ত্রীকে মা বলে ডাকে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ পাখি দুটিকে দেখতে আসে বিষয়টি আমার অনেক ভালো লাগে। গ্রামবাসী পাখি দুটির সাথে কথা বলে। মানুষ যা বলে পাখিও তাই বলে।
স্থানীয়রা জানান, জীবনে প্রথম দেখলাম শালিক পাখি মানুষের মতো কথা বলে। হারুনের ছোটবেলা থেকেই পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা রয়েছে অগাধ। হারুন পেশায় একজন ভ্যান চালক। ভ্যান চালিয়ে যা আয় করে তা দিয়ে পরিবার ও পাখির দেখভাল করেন। স্বল্প আয় করেও পশু-পাখির প্রতি এমন ভালোবাসা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শালিক পাখি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরও পালন করেন বাড়িতে।