রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সঙ্গে থাকা শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন সামেলা আক্তার (৩০) নামে বাক প্রতিবন্ধী এক নারীর। রবিবার বেলা সোয়া ১২ টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সামেলা আক্তার দৌলতদিয়া কিয়ামদ্দিন মোল্লা পাড়ার গহের আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী শিশু পিংকি (০৮) গুরুতর আহত হয়েছে। সে ইদ্রিস মিয়া পাড়ার বাবলুর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বাক প্রতিবন্ধী সামেলা ও শিশু পিংকী একসাথে রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফোরলেন সড়কের মাঝখানে আইল্যান্ডের উপর দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করে পিংকী সামেলার হাত থেকে ছুটে দৌড় দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে। শামেলা আক্তারও তার পিছু পিছু দৌঁড় দিয়ে শিশু পিংকিকে আটকানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী একটি হাইয়েছ মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১২-৪১৪৬) এসে তাদের সজোরে ধাক্কা দিলে দুজনেই রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় শিশু পিংকির ডান পায়ের উপর দিয়ে মাইক্রোবাসের চাকা উঠে যায় এবং এবং সামেলা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামেলা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। সেইসাথে শিশু পিংকির অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা হতে হাইয়েচ গাড়িটিকে আটক করে চালক হৃদয়কে (৩২) গণধোলাই দেয়।
গোয়ালন্দ মোড় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি শামীম শেখ জানান, নিহত সামেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে এবং আহত শিশু পিংকীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।