রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর:
পদ্মা নদী থেকে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার বাফুফে সভাপতিকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে গোয়ালন্দ ফুটবল একডেমী বাফুফে’র এক তারকা সনদপত্র পেল গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমী স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আলোচনা মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘দক্ষ সংগঠক গড়ে তুলি, সংগঠনকে সংহত করি’ গোয়ালন্দ সাংবাদিক ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ ব্যবসায়ীদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ করলেন হাটের ইজারাদার গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সভাপতি আজু, সম্পাদক শহিদুল রতন ক্লিনিকে সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে সাবেক এমপি খৈয়মের মতবিনিময়

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লক্করঝক্কর লঞ্চ চলাচলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
  • Update Time : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪০ Time View

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা-পাবনার কাজীরহাট নৌরুটে প্রতিদিন হাজারো মানুষ লঞ্চে পারাপার হয়। তবে এসব নৌপথে চলাচলকারী অধিকাংশ লঞ্চের অবস্থা জরাজীর্ণ। নেই পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম, নেই যথাযথ ফিটনেস। ঈদের মৌসুমে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এসব লঞ্চ চলাচল করায় বড় ধরনের নৌদুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে ২৬টি বড় (এমভি) ও ৭টি ছোট (এমএল) লঞ্চ। লঞ্চগুলোর বয়স ৩৭ থেকে ৪৮ বছর। বাহিরে চকচকে রঙ করা হলেও ইঞ্জিনসহ যান্ত্রিক অংশগুলো জোড়াতালি দেওয়া। অধিকাংশ লঞ্চেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার বাকেট, লাইফ জ্যাকেট, লাইফবয়া ও ফার্স্ট এইড কিটের সংকট রয়েছে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে এমভি নজীর, এমভি বিদ্যুৎ, এমভি খন্দকার ও এমভি টুম্পা। এ লঞ্চগুলো বডি ফিটনেসের অবস্থা খুবই নাজুক। তবে তাদেরও রয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। নিয়ম অনুযায়ী অভিজ্ঞ চালক (মাস্টার) থাকার কথা থাকলেও কিছু লঞ্চ অনভিজ্ঞ চালকদের দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তদারকি প্রয়োজন হলেও বাস্তবে তা অনুপস্থিত বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। একাধিক যাত্রী লঞ্চের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

যাত্রী আরাফাত হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষ নড়বড়ে লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। সামনে ঝড়বৃষ্টি হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কোহিনুর বেগম বলেন, প্রতিবার লঞ্চে যত আসন থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ উঠে। অধিকাংশ লঞ্চের অবস্থা খুবই খারাপ।

গার্মেন্টস কর্মী মর্জিনা বেগম বলেন, কাজের তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চে চলাচল করতে হয়। তবে আতঙ্কের মধ্যেই যাতায়াত করতে হয়। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন।

আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন দাবি করেন, ঈদের আগে ও পরে লঞ্চ পারাপার প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হয়েছে। প্রতিটি লঞ্চেরই ফিটনেস সার্টিফিকেটও রয়েছে।

তবে বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. শিমুল ইসলাম বলেন, লঞ্চগুলো অনেক পুরনো। এর মধ্যে চার-পাঁচটির অবস্থা বেশ খারাপ। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না। লঞ্চ মালিকদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com