রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া অবস্থিত যৌনপল্লীর (পূর্বপাড়া) বাসিন্দা এক নারীকে (৩৫) হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন দুই যুবক। এসময় দৌলতদিয়া যৌনকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন “অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের” কর্মীরা নাঈম মীর মালত-(২০) নামের এক যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশের দেয়। তবে জাহাঙ্গীর মন্ডল নামের অন্য এক যুবক পালিয়ে যায়। আহত মেঘলাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই নারী দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর (পূর্বপাড়া) দীর্ঘদিন যাবৎ যৌনপেশায় নিয়োজিত। শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে আটককৃত নাঈম ও জাহাঙ্গীর নামের দুই যুবক মেঘলার ঘরে কাস্টমার সেজে প্রবেশ করে। এসময় ঘরের আলো নিভিয়ে পূর্বপরিকল্পীত ভাবে হত্যার উদ্দ্যোশে দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধে এবং মুখে স্কচটেপ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে। এসময় নারীর চিৎকারে এলাকার অনেকে এগিয়ে আসে। সকলে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে আসামীরা সাথে নিয়ে আসা ব্যাগে থাকা হাতুরি দিয়ে এলো-পাথালি ভাবে মাথায় আঘাত করে। এসময় লোকজন এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর মন্ডল নামের এক যুবক পালিয়ে যায়। তবে নাঈম মীর মালত নামের এক যুবকের যৌনকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন “অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের” কর্মীরা আটক করে পুলিশে দেয়।
আটককৃত নাঈম মীর মালত উপজেলার দুদু খান পাড়ার আওয়াল মীর মালতের ছেলে। এসময় পালিয়ে যায় উপজেলার সাহাজদ্দিন মাদবর পাড়ার ইফসুফ মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর মন্ডল।
অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভাপতি ঝুমুর বেগম জানান, আমরা অসহায়। পরিবেশ-পরিস্থিতির শিকার হয়ে যৌনপল্লীতে (পূর্বপাড়ার) বাসিন্দা হয়েছি। তারপরও সন্ত্রাসী আমাদের উপর দিনের পর দিন আঘাত করে। আমাদের আয়ের উপর লোভ-লালোসার কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। তিনি আরোও বলেন, এমন ঘটনার যেন আর পুরাবৃত্তি না হয় প্রশাসনের কাছে এমন দাবি করি। আমরা যেন র্নিভয়ে কর্ম করে খেতে পারি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত নাঈমের আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং পালিয়ে যাওয়া অপর আসামী জাহাঙ্গীরকে আটক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।