ভিসা জটিলতায় এবছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদের ১২৪তম বার্ষিক ওরস শরিফে ভক্তদের নিয়ে যেতে পারেনি রাজবাড়ীর ওরস স্পেশাল ট্রেন।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরস স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। কিন্তু এবছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও ভিসা জটিলতায় যেতে পারেনি। এর আগে করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরস স্পেশাল ট্রেন যায়নি। এই স্পেশাল ট্রেনটিতে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজবাড়ী থেকে ২ হাজারের বেশি ভক্ত রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্যোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে যেতেন। তবে এবার ওরসে যেতে না পারলেও মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে একই দিন সোমবার বড় মসজিদ খানকা শরিফে বড় পরিসরে ওরস শরীফ আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করেছে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া। এখানে সব বয়সী প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা।
জানা গেছে, গতবছর আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্যোগে ওরস শরীফে যোগ দিতে রাজবাড়ী থেকে ওরস স্পেশাল ট্রেনে ২৪টি বগি সংবলিত ট্রেনে ১ হাজার ৩১৮ জন পুরুষ, ৮৫৩ জন নারী ও ৮৫ শিশুসহ মোট ২ হাজার ২৫৬ জন যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে যান। এই স্টেশাল ট্রেন ছেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লোকের সমাগম ঘটতো। এবার ট্রেন না যাওয়ায় সেসব কোনো কর্মযজ্ঞ নেই। তবে ওরস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফ।