বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ীজেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে রোববার সকাল ১১ টায় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ৩১ জন গৃহিণীকে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক আয়োজিত হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আসিফুর রহমান, কালুখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানিজ ফাতেমা, তথ্য সেবা কর্মকর্তা, কালুখালী, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোছাম্মত শামসুন্নাহার।
নিরাপদ খাদ্য কি, কেন দরকার, কিভাবে আমাদের খাবারকে আমরা নিরাপদ করতে পারি, খাদ্য বিপত্তি, খাবারকে অনুজীবমুক্ত করার ও অনুজীবমুক্ত খাবার গ্রহণের উপায়, খাবার ক্রয় বিক্রয়ে কালীযুক্ত কাগজ বা খবরের কাগজ ব্যবহার না করা, নিরাপদ খাদ্য উপকরণ হিসেবে স্টেইনলেস স্টিলের পাতিলের ব্যবহার বৃদ্ধি, সিলভার এ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে রান্নার ক্ষতিকর দিক, রান্না করা ঠান্ডা হওয়া খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়ার সময়ে সতর্কতা, খাবার সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও রান্না, ৫-৬০ক্কসে বিপদজনক তাপমাত্রা এলাকা হওয়ায় খাবার সংরক্ষণে তা পরিহার করা, নিরাপদ পানির ব্যবহার ও গ্রহণ, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক ও রাসায়নিক ব্যবহারের পর তা কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে নির্দিষ্ট সময় পর তা বাজারে নেওয়া, রুটি সরাসরি আগুনে না ছ্যাকে তাওয়ায় ছ্যাকা, ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের ব্যবহার (চিনার উপায়: চামচ ও গ্লাস চিহ্ন থাকবে বা ত্রিভুজ মার্কে ১,২,৪,৫ লিখা থাকবে), ময়লা ডিম পরিষ্কার করে রাখা, কোন খাবারে এলার্জি হলে তা প্রয়োজনে আহার পরিহার করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন আসিফুর রহমান।
উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা জানান, আপনাদের প্রদানকৃত পারিবারিক নির্দেশিকা পড়লে আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং আপনাদের আশেপাশে আরো মানুষকে জানাবেন এসকল বিষয়ে। সরকারের আরো বিভিন্ন সেবা সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেন, যারা সরকারের প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা গ্রহণ করতে চান, নিজের তৈরিকৃত স্থানীয় পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে চান, বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে চান তাদের উপজেলা অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রচরণামূলক ভিডিও প্রদর্শন, লিফলেট, পোস্টার, পারিবারিক নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।