বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর কিছু নতুন বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। তারা ১৬ বছর ঘুমিয়ে ছিল। এরকম অনেক নেতা আছেন। কিন্তু আপনারা মাঠে ছিলেন। কারাগারে গিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। আমরা সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি অনেক আগেই বলেছিলাম, শেখ হাসিনার পতন ঘটবে। আমরা অনেক সংকটের মধ্যে আছি। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। সংগঠন করার সুযোগ পেয়েছি এটা হাতছাড়া করব না। আমরা সুন্দরভাবে সংগঠন করলে একটা চমৎকার কাজ হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষ্যে রোববার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের লোকজন চারদিকে ঘাপটি মেরে আছে। ওবায়দুল কাদের এখনও নাক জাগায়নি। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সে কোথাও না কোথাও অবশ্যই আছে। এই ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের দোসর প্রশাসনে আছেন, নানা স্থানে আছেন। আবেদ আলীর সার্ভিসের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পাশ করে অনেকেই ডিসি, ইউএনও হয়েছেন। এই আবেদ আলীদের নিয়ে আমরা বহু সংকটে আছি। আবেদ আলীদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে। নির্বাচনে আবেদ আলীরা থাকলে বাক্স খেয়ে ফেলবে। এদের থেকে সজাগ থাকবে হবে। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। দল সংগঠিত থাকবে। দল সংগঠিত না থাকলে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইউনিয়ন নির্বাচন বলেন ভালো করা যাবেনা। নিজেদের মধ্যে ভোদাভদ থাকলে ভালো করা যাবেনা। আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে সে ষড়যন্ত্র কী করে মোকাবেলা করবেন। আমাদের মহসাচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করে বলেছেন জাতীয় ঐক্য সার্বভৌমত্বের জন্য, নিরাপত্তার জন্য যে সংকট চলছে এটার জন্য পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ আছি। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সংকট মোকাবেলা করতে পারে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শক্তির তরফ থেকে আঘাত আসলে আমরা পাল্টাঘাত করবো। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। পাহারাদার হিসেবে আপনাদের থাকতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য যেমন সজাগ থাকতে হবে তেমনি ভোট পাহারা দেওয়ার জন্যও সজাগ থাকতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যড. লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যড. আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যড. কামরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেএম খালেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু।