রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে মাশরুম চাষ করে তাক লাগিয়েছেন আকলিমা খাতুন। ইতিমধ্যে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় ব্যপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। আকলিমা জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের আবদুল রশিদ শেখের মেয়ে। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই উদ্বুদ্ধ চ্ছে এই চাষে।
নারী উদ্যোগক্তা আকলিমা বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরন প্রকল্পের আওতায় সাভার মাশরুম গবেষণা ইন্সটিটিউটে ১০দিনের প্রশিক্ষন নেই। সেখান থেকে ২টি মাদার বীজ নিয়ে বাড়িতে এসে আমি নিজেই মাশরুমের স্পন প্যাকেট তৈরি করি এবং ডিসেম্বর মাস থেকেই আমার বাড়ির ওঠানে ২টি শেডে চাশ শুরু করি। বর্তমানে আমার এই শেডে ওয়েষ্টার পিওটু ও এইচকে ৫১ দুই প্রজাতির , ছোট-বড় দিয়ে ১শ অধিক স্পন প্যাকেট আছে। ইতিমধ্যে আমি ৩শ টাকা কেজি মাশরুম বিক্রি শুরু করছি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে দেখতে আসছে। আমার মাশরুম চাষ দেখে অনেকে মাশরুম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আধাকেজি স্পন ২৫ ও দুই কেজির মাশরুম স্পন প্যাকেট ১২০ টাকা বিক্রি করি। এরইমধ্যে এই এলাকার ৩০নারী দু’দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন নিয়েছে এবং তারাও এই মাশরুম চাষ শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে আমাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করছে।
স্থানীয় গৃহবধূ হিরা বেগম বলেন আকলিমার মাশরুম চাষ দেখে দুদিনের প্রশিক্ষন নেই এবং দুই জাতের ১১টি চারা দিয়ে চাষ শুরু করেছি। বিক্রিও করা যায় খেতেও খুব সুস্বাদু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ উপজেলা, আমাদের কৃষি দপ্তর জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের পাশাপাশি নারী উদ্যোগক্তা তৈরি এবং পুষ্টি নিরাপত্তার জন্যও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প পরিচালক থেকে বরাদ্দ আসে আমরা আকলিমা নামে এই উদ্যোগক্তাকে নির্বাচিত করে মাশরুম চাষের ওপর ১০দিনের প্রশিক্ষন করাই। তার বাড়িতে দুটি মাশরুম চাষের ঘর শেড তৈরি করে দেই পাশাপাশি মাশরুম বাজারজাত করনের জন্য একটি ভ্যান গাড়িও এই প্রকল্পের আওতায় প্রদান ইতিমধ্যে সে ব্যপক সফলতা পেয়েছে। এটি চাষ করা খুবই সহজ। নারী উদ্যোক্তা আমরা সৃষ্টি করেছি। বাণিজ্যিক ভাবে চাষ ও প্রচারের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মাশরুমকে অনেকে ব্যাঙের ছাতা বলে। আসলে এটি পুষ্টির ছাতা। মাশরুম খেলে ব্লাড পেশার কমে ওজন কমাতে সহায়তা করে, দাত ও হাড়কে মজবুদ করে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ অসংখ্য পুষ্টি গুণে ভরপুর।