শীত পড়তে শুরু করায় রাজবাড়ীর লেপ তোশকের দোকানে কদর বেড়েছে।
কিছুদিন ধরেই শীতের আবহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লেপ তোশকের বাজারে শীত নিবারনের জন্য মানুষ লেপ তোশক কিনতে ও অর্ডার দিয়ে তেরী করতে আসছেন। গত বছরের চাইতে এবছর তুলা ও কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোশকের দামও বেড়ছে। তুলার কেজিতে ১০ টাকা ও কাপড়ের গজে ৫/১০ টাকা বেড়েছে। এতে লেপ ও তোশক প্রতি চারশো টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের চায়না কম্বল, কম্ফোটার, ম্যাট্রেস বাজারে রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায় বলে লেপ তোষকের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। তাছাড়া দেশের এ অবস্থা বিবেচনায় সাধারন ক্রোতাদের হাতে অর্থের যোগান কম থাকায় এবার লেপ তোশকের বিক্রিও কম হচ্ছে। যদিও এখন শীতের শুরু সামনে আরো বিক্রি বাড়বে বলেও জানান ব্যবসায়ী ও কারিগররা।তাছাড়া লেপ তোষকের মজুরীও আগের বছর মত একই রয়েছে। মজুরী না বাড়ার কারনে কারিগরদের আয়ও কম হচ্ছে। তবে যেসব দোকানে কাজ বেশি তাদের দিন শেষে আয়ও কিছুটা বেশি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি লেপে তৈরীতে খরচ বাদে ১৭০ টাকা পান কারিগররা। দিনে তিন থেকে চারটি লেপ তৈরি করতে পারেন। আর তোশক ভারী হওয়ায় কেজি হিসেবে তৈরী করেন। প্রতি তোশক খরচ বাদে ৯ টাকা পান তারা। সারাদিন কাজ করে ৬শ থেকে ৮শ টাকার কাজ করতে পারেন কারীগররা। তারপরও তারা কাজ বাড়ায় ভালো আছেন বলে জানান।
ক্রেতারা বলেন, গত বারের চাইতে এবার তুলা ও কাপড়ের দাম বেশি তাই লেপ প্রতি দের থেকে দুইশো টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। কারিগররা বলেন, বর্তমানে শীত শুরু হওয়ায় কাজ বাড়তে শুরু করেছে। তবে আগের মত এখন কাজ নেই। বাড়েনি লোপ তোশক তৈরীর মজুরিও। ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমান বাজারে রেডিমেড কম্বল, কম্ফোটার সহ হওভিন্ন ধরনের গরম কাপড় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। একারনে লেপ ও তোষক মানুষ কম তৈরী করছেন। মানুষের হাতের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো না থাকায় লেপ তোষকের প্রতি চাহিদা কমেছে।
রাজবাড়ী বাজার তুলা ও লেপ তোশক ব্যাবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো.রইস মন্ডল বলেন, শীতের শুরুতে বেচা বিক্রি শুরু হয়েছে।কাজ বাড়লেও আগের তুলনায় কাজ কম। তুলা ও কাপড়ের দাম বেশি ও বাজারে বিভিন্ন ধরনের কৃত্তিম শীতের উপকরন, কম্বল, কমফোর্টার, তোশকের বিকল্প টপার সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র আসার কারনে ক্রেতারা এসব জিনিস বেশি কিনছেন। এতে লেপ তোষকের প্রতি আগ্রহ ও চাহিদা কমেছে ক্রেতাদের।