রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়।
ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরে অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল উবায়েদ মোহাম্মদ বাসেত ঠাকুর। আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনেয়ারা খাতুন। বক্তব্য দেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফকীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. টোকন মন্ডল, কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুরজিত চক্রবর্তী।
এসময় শহীদদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আন্দোলনে নিহত শহীদ সাগরের পিতা মো. তোফাজ্জল হোসেন, শহীদ আব্দুল গণি মিয়ার স্ত্রী লাকি আক্তার এবং শহীদ শহীদ কোরবান শেখের মেয়ে মিতু আক্তার।
এসময় অধ্যাপক হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমরা যে যখন দায়িত্ব পাচ্ছি, আমরা ভেবেছি বাংলাদেশটা একটা লাশ। আর আমরা হচ্ছে এক হিংস্র পশু, যারা সুযোগ পেলেই এই দেশটাকে ছিড়ে খাচ্ছি। এই চিন্তা চেতনা থেকে আমরা যখন বেরিয়ে আসতে পারবো, কেবল তখনই আমাদের রক্তদান বন্ধ হবে।’
স্মরণসভা শেষে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থিয়েটারের পরিবেশনায় অধ্যাপক আবুল উবায়েদ মোহাম্মদ বাসেত ঠাকুরের শিল্প নির্দেশনায় এবং রেজোয়ান হোসেনের নির্দেশনায় ‘ রক্তে কেনা দেশ ‘ মঞ্চ নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়।