দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সংকটের কারণে বিঘ্ন ঘটছে নৌযান চলাচলে। পদ্মা নদীতে পানি কম থাকায় ফেরিগুলো সোজা চলতে পারছে না। অনেকটা পথ ঘুরে পৌছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। এ কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১৫-২০ মিনিট সময় বেশি লাগছে।
দৌলতদিয়া ঘাট সূত্র জানায়, প্রতিবছর শুকনা মৌসুমে এ রুটে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নাব্যতা সংকট সমাধানে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় এক মাস ধরে ড্রেজিং কার্যক্রম করছে। কিন্তু এওতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তাদের ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। পদ্মা সেতু চালুর আগে এ রুটে যাত্রী ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। পদ্মা সেতু চালুর পর এ যাত্রী ভোগান্তি কমেছে। সেই সাথে যানবাহন পারাপারের সংখ্যাও অনেক কম। দৌলতদিয়া প্রান্তের সাতটি ঘাটের মধ্যে মাত্র তিনটি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে প্রায় এক মাস ধরে ব্যাহত হচ্ছে এ রুটে ফেরি চলাচল। ড্রেজিং কার্যক্রমের কারণে পুরোপুরিভাবে সচল হচ্ছে না দৌলতদিয়ার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম ৭ নম্বর ঘাট। ঘাটে দীর্ঘ অপেক্ষা করে অনেক সময় ফিরে যেতে হচ্ছে অন্য ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার এজিএম সালাহ উদ্দিন জানান, নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে খননকাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই নাব্যতা সংকট দূর হয়ে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক হবে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের খনন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাছান আহমেদ বলেন, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া নৌপথের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে নৌবাহিনীর দুটি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং চলছে। এই নৌরুটে ফেরি চলাচলের জন্য সাধারণত ১২ ফুট গভীরতা পানি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে পানির গভীরতা কম থাকায় ড্রেজিং করে নাব্যতা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।