ঝড়ো হাওয়ায় দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সংযোগ সেতুর একটি অংশ ধ্বসে যায়। এতে ঈদের ছুটি শেষে কর্মমুখি মানুষের দুর্ভোগের আশংকা করছে লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, একটি অংশ ধ্বসে গেলেও লঞ্চে নদী পারাপার করা যাত্রীদের কোন দুর্ভোগ হবে না। তবে ধ্বসে যাওয়া সংযোগ সড়কটি থাকলে যাত্রী চলাচলে আরও সুবিধা হত। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় এবং ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের দিন সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ কাল-বৈশাখী ঝড়ে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের একটি অংশ ধ্বসে যায়। এসময় লঞ্চ ঘাটের পল্টুনের ধাক্কায় ১২টি ছোট বড় নৌকা ভেঙ্গে যায়। বিলুপ্ত হয়ে যায় ঈদের পূর্বে মেরামত করা বিকল্প সংযোগ রাস্তা। লঞ্চ ঘাটের একটি অংশ বিকল থাকায় কর্মমুখি যাত্রীদের দুর্ভোগের আশংকা করছেন লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, গত বর্ষা মৌসুমে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পরে অর্ধেক অংশ বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন জরুরী ভাবে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করেন। তখন থেকে দীর্ঘ ৭মাস দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট জোড়া তালি দিয়ে চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হয়নি। তবে ঈদের পূর্বে কোন মত মেরামত করা হয়। মেরামতের অংশটুকু ঈদের দিন সকাল ১০টার দিকে ধ্বসে যায়।
বাংলাদেশ আরিচা বন্দরের (ভারপ্রাপ্ত) পোর্ট অফিসার মো. শাহ আলম জানান, কর্মমুখি যাত্রীদের চাপ এখনও শুরু হয়নি। শনিবার থেকে শুরু হতে পারে। লঞ্চ ঘাটের একটি সংযোগ সেতু ধ্বসে যাওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ সড়ক মেরামত করার প্রক্রিয়া চলছে। একটি সংযোগ সড়ক বিকল থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কর্মমুখি যাত্রীদের কোন দুর্ভোগ হবে না। তবে এই সংযোগ সড়ক ভাল থাকলে যাত্রীদের সুবিধা হত।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানান, লঞ্চ ঘাটের একটি অংশ বিকল থাকলে যাত্রী কমে যায়। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। ঘাট ভাল থাকলে যাত্রীরা সহজে লঞ্চে ঘাট ব্যবহার কওে নদী পারাপার হতে পারতো। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ কমতো। লঞ্চ ঘাটের একটি সংযোগ সড়ক বিকল থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এসময় ঘাট সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারি মালপত্র নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ ঘাট ব্যবহার করে চলাচল করা যাবে না। যে কারণে যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ফেরিতে চলাচল করে। তারা জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষে অবহেলার কারণে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লঞ্চ ঘাটের সময় মত ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট।