রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নারী ও শিশুদের যৌনপেশায় যুক্ত হওয়ার পেছনে দরিদ্রতাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) এর সহযোগিতায় তেরে দেস হোমস (টিডিএইচ) নামক সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংগঠন এ গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে। বুধবার বেলা ১২ টায় মুক্তি মহিলা সমিতি’র কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
গবেষণার বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন টিডিএইচ এর বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর জিনিয়া আফরোজ। গবেষণা উপস্হাপন করেন টিডিএইচ এর গবেষক সুরজিত কুন্ডু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তি মহিলা সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম।
সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রুহুল আমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান তোফায়েল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, উপজেলা মহিলা ও শিশু পাচার প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা নির্মল কুমার চক্রবর্তী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, চিকিৎসক, এনজিও কর্মী, নারী কর্মী প্রমুখ।
গবেষণা সূত্রে জানা যায় , গত বছরের নভেম্বর মাসে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা তেরে দেস হোমস (টিডিএইচ) দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ভেতরে সব চাইতে ঝুঁকিতে থাকা ১২-১৮ বছর বয়সী ৫০ জন নারীর উপর একটি গবেষণামূলক জরিপ চালায়। গবেষণায় অংশগ্রহনকারীরা কিভাবে যৌনপল্লীতে আসলো সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এতে দারিদ্রতাকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পাচার, প্রতারনা, শোষন ও নির্যাতন, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, পরিবারের সদস্যদের চাপসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণসহ সাতটি পরামর্শ তুলে ধরা হয়।