শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পায়াকট বাংলাদেশের সেফ হোমের শিশুদের জন্য মানবিক সাহায্য প্রদান করেছেন গোয়ালন্দের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
সাহায্যের মধ্যে ছিল ১০০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি লবণ, দুই লিটার সয়াবিন তেল, মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, হলুদ গুড়া প্রভৃতি। এছাড়া কয়েকদিন আগে তিনি হোমের শিশুদের জন্য জব্দ করা পাঁচ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ প্রদান করেন। এ সময় হোমের শিশুরা তাকে অভ্যর্থনা জনান। তিনি শিশুদের সাথে কিছু সময় থাকেন এবং তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য শিশুদেরকে উৎসাহ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, সাংবাদিক মইনুল হক মৃধা, পায়াকট বাংলাদেশের ম্যানেজার মজিবুর রহমান খান জুয়েল, প্রোগ্রাম অফিসার (শিক্ষা) শেখ রাজীব প্রমুখ।
পায়াকট বাংলাদেশের ম্যানেজার মজিবুর রহমান খান জুয়েল বলেন, পাশর্বর্তী দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর অসহায় শিশুরা তাদের সেফহোমে থাকে। একটা সময় এখানে শতাধিক শিশু থাকত। তাদের অনেকে এখানে থেকে বড় হয়ে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। অনেক মেয়ের বাইরের সামাজিক পরিবেশে বিয়ে হয়েছে। তারা এখন সুখের সংসার করছে। এই হোমই তাদের বাবার বাড়ি। সন্তানদের নিয়ে তারা মাঝেমধ্যে এখানে বেড়াতে আসে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ হোমে সরকারি এবং দাতা সংস্থার সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ রয়েছে। যে কারণে এখানে শিশুর সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে মাত্র ১০ জন শিশু রয়েছে। পায়াক্ট এর চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে তাদের পরিচালনা করছেন। আজকে ইউএনও স্যারের সহানুভূতি আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছে। তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দেশের প্রতিটি শিশুরই সমান নাগরিক সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। হোমের কিংবা পরিবারের শিশু বলে কোন শিশুকে পার্থক্য করা উচিত নয়। আজকে এই সকল শিশুর মাঝে এসে আমার ভাল লেগেছে। তাদের জন্য কষ্টও লেগেছে। আমি আমার জায়গা হতে সর্বদা এ সকল শিশুদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।