ঈদুল-ফিতরের বাকী ৬দিন। যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে ফেরি ঘাটগুলোতে। তবে ঢাকামুখি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে ঢাকামুখি যাত্রীবাহী বাস। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে প্রায় ৫শতাধিক যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়। এসময় ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসি এবং বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্ত বাস্তবে এখনও পর্যন্ত এই নৌরুটে কোন প্রকার লঞ্চ ও ফেরি বৃদ্ধি করা হয়নি। বরং তিনটি ফেরি বিকল থাকার কারণে চলমান ফেরির সংখ্যা কমেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্য চৌহান জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদ উপলক্ষে ২১টি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত থাকলেও কবে ফেরিগুলো এই বহরে যোগ হবে জানাতে পারেনি তিনি। তবে তিনি এই নৌরুটের তিনটি চলমান ফেরি বিকল থাকার কথা নিশ্চিত করেন।
এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকট থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে পন্যবাহী ট্রাকের চাপ কমলেও বেড়েছে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৫কিঃমিঃ এলাকা জুরে যাত্রীবাহী বাসের একটি দীর্ঘ সারি রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাসগুলো বেশির ভাগ ফাঁকা রয়েছে।
এসময় ঢাকামুখি একাধিক যাত্রীবাহী বাস চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকামুখি যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। তবে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসার জন্য ফাঁকা বাস নিয়ে ঢাকামুখি হতে হচ্ছে। কত সময় ফেরি পারের জন্য অপেক্ষায় আছেন জানতে চাইলে একাধিক চালক বলেন, ৮/৯ ঘণ্টা যাবৎ দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবুও ফেরি ঘাটে পৌঁছাতে পারছি না। তারা জানান, প্রচন্ড গরম। এই গরমের মধ্যে ৮/৯ ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকার যন্ত্রনা বুঝাতে পারবো না।
ঢাকা থেকে ঘরমুখি যাত্রীদের চাপ পরেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরি ঘাটে। তবে দৌলতদিয়া পারের অসংখ্যা যানবাহন থাকার কারণে যাত্রীরা সহজে গন্তব্যস্থানে যেতে পারছে। কিন্ত দূরপাল্লা যানবাহনগুলো পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ঘণ্টা পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে নদী পার হতে হচ্ছে। এসময় ঢাকা থেকে যশোর গামী এক নারী যাত্রী বলেন, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে ৪ঘণ্টা যাবৎ অপেক্ষায় ছিলাম। তবে ফেরিতে উঠতে পারিনি। যে কারণে গাড়ী ছেড়ে দিয়ে লঞ্চে পার হয়ে এসেছি। তিনি জানান, প্রচন্ড গরমে অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে। এত গরমে শিশু বাঁচ্চা নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। রোজা রেখে খুব কষ্ট হচ্ছে।